বাণিজ্য মেলায় ১০ দেশের ১৭ প্রতিষ্ঠান
৩১ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:০২
ঢাকা: দ্বিতীয়বারের মতো পূর্বাচলে স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী ‘২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিইটিএফ)-২০২৩’ শুরু হচ্ছে পহেলা জানুয়ারি। মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের বাণিজ্য মেলায় ১০টি দেশের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এবারে মেলায় প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্ত বয়ষ্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়ষ্কদের জন্য ২০ টাকা। মেলার টিকেট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ডিসকাইন্টের সুযোগ থাকবে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান এবং অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. আব্দুর রহিমসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
টিপু মুনশি বলেন, ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আমাদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। লাভের উদ্দেশ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয় না। গতবছরও এ মেলায় দুইশত কোটি টাকা মূল্যে পণ্য রফতানির স্পট আদেশ পাওয়া গেছে।’
তিনি বলেন, ‘স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারে একটু দূরে হলেও মেলায় অংশগ্রহণকারী ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। এ মেলার মাধ্যমে আমাদের তৈরি পণ্য দেশি-বিদেশি সকলের কাছে তুলে ধরার সুযোগ পাই। ক্রেতারাও দেশি-বিদেশি পণ্যের মধ্যে তুলনা করার সুযোগ পান, এতে করে পণ্যের মানও উন্নত হয়। বাংলাদেশের তৈরি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরাই এ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মূল উদ্দেশ্য।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘পণ্যের মান উন্নত এবং মূল্য কম হবার কারণে প্রতি বছর আমাদের রফতানি বাড়ছে। গত বছরও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রফতানি হয়েছে। আমাদের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আরও ১০টি পণ্য রফতানির বৃদ্ধির বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আইসিটি আমাদের জন্য খুবই সম্ভাবনাময় পণ্য, অল্পদিনের মধ্যে এ খাতের রফতানি ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আশা করছি। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের চাহিদাও বাড়ছে বিশ্ব বাজারে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মেলায় খাদ্যপণ্যের মান এবং মূল্যের বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। খাদ্য পণ্যের মূল্য নির্দিষ্ট থাকবে। ভোক্তা অধিকার অধিদফতর মেলায় অভিযান পরিচালনা করবে। মেলায় যাতায়াতে যাতে কোনো ধরনের নিরাপত্তার ব্যাঘাত না ঘটে, সেজন্য পুলিশ প্রশান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য গতবারের মতো সার্টেল সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে। কুড়িল বিশ্ব রোড হতে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করবে, প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বাসের ভাড়া ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মেলায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জণ্য ১৭টি প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে। দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য দু’টি হলের বাইরে মিলে মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনিপ্যাভিলিয়ন রয়েছে।
সারাবাংলা/জিএস/এনএস