Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টানা ৩ দিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:১৩

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তিন দিন ধরে বয়ে চলছে টানা শৈত্যপ্রবাহ। শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ জেলার মানুষ। স্বাভাবিক কর্মজীবনে দেখা দিয়েছে স্তবিরতা। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় শিশু ও বৃদ্ধসহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ওই সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, গত তিন দিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ বেশি। দিনে সূর্যের উত্তাপ মিলছে না। এতে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। আরও কয়েকদিন এরকম পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।

এর আগে গত শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন রেকর্ড করা হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়; ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবারও (৭ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন রেকর্ড করা হয়েছিল এই জেলায়; ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত ২১ দিন থেকে এ জেলায় ক্রমাগত তাপমাত্রা কমছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকায় সূর্যের দেখা মিলছে না।

বৈরী আবহাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ। যারা বের হচ্ছে তারাও শরীরে বেশ কয়েকটি গরম কাপড় জড়িয়ে শীতের প্রস্তুতি নিয়েই বের হচ্ছেন। শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে। টান পড়ছে আয় রোজগারে। প্রকৃতির এমন বৈরী আচরণে কষ্ট ও দুর্ভোগ বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। ভোর থেকে কাজের সন্ধানে অপেক্ষা করেও মিলছে না কাজ। ফিরে যেতে হচ্ছে বাড়িতে। টানা কয়েক দিনের শীতে উপার্জন করতে না পারায় মানুষ তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকটা না খেয়ে দিন যাপন করছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে শীতজনিত রোগ নিউমোনিয়ায় শিশু ও বৃদ্ধসহ এ পর্যন্ত জনের জনের মৃত্যু হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন অধিদফতর সুত্র জানায়, ২১ হাজার ১০০টি কম্বল বিতরণের পর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান ৩০ হাজার কম্বলের চাহিদা পত্র পাঠিয়েছেন।

সারাবাংলা/ইআ

শৈত্যপ্রবাহ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর