ফের ৩ শিশুর জন্ম দিলেন ৫ সন্তানের মা
১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৪৫
নেত্রকোনা: জেলার সীমান্ত এলাকা দুর্গাপুরের গৃহবধূ হাজেরা খাতুন একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এর মধ্যে দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান। গতকাল শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে দুর্গাপুর পৌরশহরের হাসপাতাল মোড়ে অবস্থিত তালুকদার ক্লিনিকে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে তাদের জন্ম হয়। নবজাতক তিন শিশু ও মা ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মা হাজেরা খাতুন উপজেলার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের ফারুংপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার স্ত্রী। পিতা বাবুল মিয়া পেশায় একটি সোনার দোকানের কর্মচারী। এই দম্পতির ঘরে আরও দুই মেয়ে ও তিন ছেলে সন্তান রয়েছে।
অভাব অনটনের সংসারে তিন সন্তানের লালনপালন করতে কতটুকু সফল হবেন এ নিয়ে চিন্তায় আছে পরিবারটি। পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বাবুল মিয়া। সদ্য জন্ম নেওয়া ও পূর্বের পাঁচসহ এখন আট সন্তানের লালন পালন কিভাবে করবেন তা ভেবে চরম দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় প্রসব ব্যথা শুরু হয় গর্ভবতী হাজেরা খাতুনের। তাকে ক্লিনিকে নিয়ে আসলে মধ্যরাতে দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন এই গৃহবধূ। নিজের সম্পদ বলতে কিছুই নেই স্বামী বাবুল মিয়ার। সোনার দোকানে কাজ করে কোনোমতে সংসার চলান তিনি।
নবজাতকের দাদি জাহেরা খাতুন বলেন, ‘তিন সন্তান এক সঙ্গে জন্ম নেওয়ায় আমরাও খুশি, তবে দুচিন্তায়ও আছি। একজনের উপার্জনে কোনোমতে তাদের সংসার চলে। আল্লাহ সুস্থ রাখলে পরিবারের সবাই মিলে লালনপালন করব। দেশবাসীর কাছে সন্তানদের জন্য দোয়া চাই।’
বাবুল মিয়া জানান, পাঁচ সন্তান নিয়ে অভাব অনটনের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। তার ওপর আরও তিন সন্তান জন্ম নিয়েছে। এই শীতে সবার গরম কাপড়, খাবার ও ওষুধ মেলানো তার পক্ষে সম্ভব নয় বলে চরম দুশ্চিন্তায় আছেন। সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
মা হাজেরা খাতুন বলেন, ‘আমি হতভাগা। গরিব হলেও আট ছেলে-মেয়ে হয়েছে। আমি কি করে কইলজার টুকরার কাপড়, খাবার ও ওষুধ যোগাড় করব? আল্লাহ এদের বাঁচাও। আমার জীবনের বদলে তাদের বাঁচাও। আমি আমার সন্তানরে বাঁচাতে চাই।’
সারাবাংলা/এনএস