Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লাশের পাশে মোবাইল ধরিয়ে দিল ৬ ‘খুনিকে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:১৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামে সূত্রবিহীন একটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। খুন হওয়া ব্যক্তির লাশের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ‘খুনি’ শনাক্ত করে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেফতার করে ডিবি। এরা হল- হুমায়ুন কবির মাসুদ, মো.খোকন, রফিকুজ্জামান সানি, নজরুল ইসলাম, মো. রায়হান এবং আব্দুল কাদের জীবন।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে কর্ণফুলী উপজেলার সিডিএ আবাসিক এলাকা সংলগ্ন সড়ক থেকে গত ২১ জানুয়ারি সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মোহাম্মদ কায়েস (৩৩) নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি পটিয়া উপজেলায়। কায়েসের পেটে-বুকে ধারালো অস্ত্রের ৭-৮টি আঘাতের চিহ্ন আছে বলে জানিয়েছিল কর্ণফুলী থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তদন্ত শুরু করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। ছয়জনকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে তারা খুনের নেপথ্যের রহস্যসহ সার্বিক বিষয় উদঘাটন করে।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. কায়সার হামিদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় আমরা বুঝতে পেরেছিলাম হত্যাকাণ্ড। কিন্তু কারা, কী কারণে খুন করেছে এসব বিষয় উদঘাটনের জন্য কোনো ক্লু পাচ্ছিলাম না। একপর্যায়ে লাশের পাশ থেকে ভিকটিমের মোবাইল পাওয়া যায়। সেখানে কথোপকথনের সূত্রে একটি নম্বর পাই। কিন্তু সেটি বন্ধ ছিল। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান শনাক্ত করে আমরা প্রথমে ওই মোবাইল নম্বর ব্যবহারকারী হুমায়ুনকে গ্রেফতার করি। তার তথ্যে বাকি পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।’

গ্রেফতার ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা কর্মকর্তা কায়সার জানান, হুমায়ুন ও কায়েস পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। চার মাস আগে নিষিদ্ধ মাদক ক্রিস্টাল মেথ বা আইস সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য তারা রাঙামাটিতে একজন পাহাড়ি মাদক বিক্রেতার কাছে যান।

বিজ্ঞাপন

পরে আরেকদিন হুমায়ুন একা গেলে তাকে ‘পুলিশের সোর্স’ বলে আটকে কয়েকজন পাহাড়ি ব্যক্তি মারধর করে এবং ইট দিয়ে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত করে। হুমায়ুন কোনোমতে প্রাণে বেঁচে ফিরলেও তার সন্দেহ, কায়েস সোর্সের বিষয়টি তাদের জানিয়ে দিয়েছে।

‘তখন হুমায়ুন কায়েসের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে। ২০ জানুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে মোবাইলে কায়েসকে ডেকে কর্ণফুলী থানার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় নিয়ে আসে। চা-নাস্তা খাইয়ে সন্ধ্যার পর সিডিএ আবাসিক এলাকার সামনে রাস্তায় নিয়ে একটি অটোরিকশার ভেতরে বসায়। এরপর আরও পাঁচ বন্ধু মিলে কায়েসকে ছুরি ও লোহার ধারালো পাত দিয়ে আঘাত করে। প্রাণে বাঁচতে কায়েস চিৎকার করে সড়কের পশ্চিম পাশে সিডিএ আবাসিক এলাকায় ড্রেনের দিকে দৌড় দেয়।’

তারা কায়েসকে ধাওয়া দিয়ে ধরে আবার ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে বলে জানান গোয়েন্দা পরিদর্শক কায়সার হামিদ।

সারাবাংলা/আরডি/একে

খুনি শনাক্ত টপ নিউজ লাশ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কোস্ট গার্ডের নতুন ডিজি জিয়াউল হক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩২

সম্পর্কিত খবর