Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা বাস্তবায়নের দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:১৮

ঢাকা: ‘খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা, ২০২১’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে ভার্চুয়াল মানববন্ধনের আয়োজন করেছে অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রগতির জন্য জ্ঞান-প্রজ্ঞা।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আয়োজিত মানববন্ধনে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।

ভার্চুয়াল মানববন্ধনে বিভিন্ন সংগঠন, শ্রেণি, পেশা ও বয়সের মানুষ এক সঙ্গে নিজ নিজ প্রোফাইলে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও পোস্টারের ছবি তুলে আপলোড করেন। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় আয়োজিত ভার্চুয়াল মানবন্ধনে প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ‘খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা পাস করায় সরকারকে ধন্যবাদ। তবে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এটি বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এক্ষেত্রে তেমন কোন অগ্রগতি চোখে পড়ছে না। প্রবিধানমালাটি বাস্তবায়নে যত দেরি হবে দেশে ট্রান্সফ্যাট ঘটিত হৃদরোগ ঝুঁকি ও মৃত্যু ততই বাড়তে থাকবে।’

উল্লেখ্য, খাদ্যে মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট হৃদরোগ এবং হৃদরোগজনিত অকাল মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল (পিএইচও), যা ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত। সাধারণত বেকারি পণ্য, প্রক্রিয়াজাত ও ভাজা পোড়া স্ন্যাক্স এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সড়কসংলগ্ন দোকানে খাবার তৈরিতে ডালডা ব্যবহৃত হয়। প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল ট্রান্সফ্যাট এলিমিনেশন প্রতিবেদন অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিশ্বের ৪৩টি দেশে এরইমধ্যে খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ‘সর্বোত্তম নীতি’ বাস্তবায়ন করলেও, বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/একে

ট্রান্সফ্যাট বিধিমালা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর