১২৪২ বছর পর নওগাঁয় আবারও হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:৫০
নওগাঁ: ‘সোমপুর বিহার (পাহাড়পুর)’ থেকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়’। ১২৪২ বছর পর নওগাঁ পেলো আবারও বিশ্ববিদ্যালয়।
সোমপুর বিহার প্রতিষ্ঠার পর চলে গেছে হাজার বছর। বিন্তু জ্ঞান আহরণ থেমে থাকেনি। হস্ত থেকে অ্যানালগ পার হয়ে এখন চলছে ডিজিটাল যুগ। গবেষণা, জ্ঞান, বিদ্যা অর্জনের রকম পাল্টে গেছে। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে ও প্রান্তের খবর মানুষের হাতের মুঠোতে। এরইমাঝে নওগাঁবাসীর হাজার বছরের প্রত্যাশা পূরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পালবংশীয় রাজা ধর্মপাল ৭৮১-৮২১ অষ্টম শতকের শেষ দিকে সোমপুর বিহার নির্মাণ করেছিলেন। সোমপুর বিহারে আধুনিক আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বহু জ্ঞানীদের আগমন হতো। বিদেশ থেকেও জ্ঞান পিপাসুরাও এখানে আসতেন। এখন নতুন করে হাজার বছরের অপেক্ষা কাটিয়ে সেই আশা বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। আর সেই খবরে আনন্দে ভাসছে নওগাঁবাসী।
জাতীয় সংসদে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় নওগাঁ’ বিলটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে। বিল পাসের খবর ছড়িয়ে পড়লে খুশির উৎসবে মেতে ওঠে নওগাঁবাসী। খুশির স্ট্যাটাস ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। এদিকে এমন বড় উপহার দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিলের আয়োজন রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি উপজেলায়।
পাবলিক এই বিশ্ববিদ্যালয় বিলটি পাস হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে নওগাঁর ২৭ লাখ মানুষের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নওগাঁ-১ আসনের সংসদ সদস্য খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ‘এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় শুধু নওগাঁ কিংবা উত্তারাঞ্চল নয়, পুরো দেশের জন্যই শিক্ষার নতুন দ্বার উন্মোচন করলো।’
নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার বলেন, ‘এটি নওগাঁবাসীর জন্য আর্শিবাদ।’ এর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ স্থানীয় সকল সংসদ সদস্যকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে শিক্ষা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে কয়েক ধাপ এগিয়ে গেলো দেশ। আমার পিতা প্রয়াত নেতা আব্দুল জলিলেরও স্বপ্ন ছিলো এমন একটি বিদ্যাপিঠ প্রতিষ্ঠার।’ দীর্ঘদিন পরে হলেও এমন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
সারাবাংলা/এমও