Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জিয়াসমিনকে কী করে বলব রবিন নেই’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৮ মার্চ ২০২৩ ১৯:৩৭

ঢাকা: মাত্র আড়াইমাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছিলেন রবিন। তার গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুরের গোসাইরহাট থানার নাগেরপাড়ে। স্ত্রী জিয়াসমিন ও অসুস্থ বাবা বাড়িতেই থাকেন। নববধু ও বাবাকে ছেড়ে ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন রবিন। কিন্তু তার মৃত্যু খবর জানেন না বাবা ও স্ত্রী।

বুধবার (৮ মার্চ) গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণের একদিন পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে রবিনের মরদেহ। তার বড় ভাই শাহাদত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে কান্না জড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘রাজধানীর কদমতলির মুরাদপুর এলাকায় থাকতেন রবিন। আনিকা এজেন্সির নামে একটি স্যানেটারিওয়্যারের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন তিনি।’

শাহাদত বলেন, ‘রবিনের স্ত্রী ও আমার অসুস্থ বাবা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। বাবাকে আমি কিভাবে রবিনের মৃত্যুর খবর জানাব। জিয়াসমিনকে কী করে বলব রবিন নেই, রবিন মারা গেছে। জিয়াসমিনের হাতের মেহেদীর রঙ এখনও শুকায়নি।’

তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার গুলিস্তানে বিস্ফোরনের পর থেকেই আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। যখন আহতদের ও মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে, তখন আমিও ঢাকা মেডিকেলে আসি। হাসপাতালের কোথাও রবিনকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আবার ঘটনাস্থলে ফিরে যাই। অনেক রাত পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চললেও আমার ভাইকে খুঁজে পাইনি।’

এরপর মিটফোর্ড হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালে সারারাত খোঁজ করেও খুঁজে পাইনি। আজ সকালে আবার সিদ্দিক বাজারের বিস্ফোরণস্থলে যাই। সকাল থেকে ঘটনাস্থলেই ছিলাম। বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দু’টি মরদেহ উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে হাসপাতালে এসে আমার ভাইয়ের মরদেহ সনাক্ত করি।’

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে ১০৮/১ ক্যাফে কুইন স্যানিটারী সাত তলা মার্কেটের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়েত পারে।

সারাবাংলা/এসএসআর/ইআ

গুলিস্তান বিস্ফোরণ টপ নিউজ সিদ্দিকবাজার ট্র্যাজেডি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর