নিয়োগ বাণিজ্য : চবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে দাঁড়াল শিক্ষক সমিতি
২০ মার্চ ২০২৩ ২২:৪৪ | আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৩ ১২:১১
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বিভিন্নসময়ে ওঠা নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের সুরাহাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তিন কর্মদিবসের মধ্যে দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ারও হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি। এর মধ্য দিয়ে চবি উপাচার্য ড. শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে অবস্থান প্রকাশ্য করল শিক্ষক সমিতি।
সোমবার (২০ মার্চ) বিকেলে উপাচার্য বরাবর চিঠি দিয়ে চার দফা দাবি জানানো হয়েছে। সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।
জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা উপাচার্য অফিসে গিয়ে চিঠি দিয়েছি। তখন তিনি (উপাচার্য) অফিসে ছিলেন না। আমরা চিঠি অফিসে দিয়ে এসেছি।’
চার দফা দাবি হলো- অবিলম্বে সিন্ডিকেট নির্বাচন দেওয়া, নিয়োগ বাণিজ্যের নেপথ্যের নায়কদের খুঁজে বের করা, পরিকল্পনা কমিটির সুপারিশ ছাড়া পদের বাইরে অতিরিক্ত নিয়োগ ও আবেদন বাতিল হওয়া প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের সুরাহা করা এবং বিভিন্ন অনিয়ম-অসঙ্গতির বিষয়ে গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশে সিন্ডিকেটে বিভিন্ন পদে নির্বাচন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু উপাচার্য শিরীন আখতার ও উপ-উপাচার্য বেনু কুমার দে দায়িত্ব নেওয়ার পর এসব পদে নির্বাচন সম্পন্ন করেননি। পাশাপাশি শিক্ষক পদোন্নতির ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের খবর প্রকাশ হয়েছে, পাশাপাশি নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে অডিও কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে।
অডিও কেলেঙ্কারির ঘটনায় উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কয়েকজন কর্মচারীর জড়িত থাকার বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। তাদের দ্রুত আইনের আওয়তায় এনে নেপথ্যের নায়কদের চিহ্নিত করার জন্য সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিও একই দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন এসব বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষক সমিতি গত একবছর ধরে উপাচার্য ও উপ উপাচার্য বরাবরে সকল বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। এরপরও চলমান ঘটনাগুলো শিক্ষক সমাজকে চরম লজ্জার মধ্যে নিপতিত করেছে। এ অবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতে দেওয়া যায় না।
শিক্ষক সমিতির দাবির বিষয়ে জানতে উপাচার্যকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও তিনি উত্তর দেননি।
সারাবাংলা/আরডি/একে