Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘শ্রমিকরা সংখ্যায় বাড়লেও সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১ মে ২০২৩ ২০:৪৮

ঢাকা: শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) নেতারা বলেছেন, শ্রমিকদের সংগঠন গড়ার স্বাধীনতাকে নানাভাবে সংকুচিত করে রাখা হয়েছে। সর্বশেষ শ্রমিকদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সর্বোচ্চ উপায় ধর্মঘট করার অধিকারও আইনের খড়গের নিচে আটকে রাখার চেষ্টা চলছে। ইপিজেড, ইসিজেডসহ নতুন গড়ে ওঠা শিল্প-কারখানায় আইনি বাধা ও সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে উঠছে না। ফলে শ্রমিকরা সংখ্যায় বাড়লেও সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে পল্টন মোড়ে স্কপ আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। স্কপের যুগ্ম সমন্বয়কারী আব্দুল কাদের হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, শাহ মো. আবু জাফর, সাইফুজ্জামান বাদশা, রাজেকুজ্জামান রতন, চৌধুরী আশিকুল আলম, কামরুল আহসান, শামিম আরা, ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাদল খান, নইমুল আহসান জুয়েল, রিপন চৌধুরী, আমিরুল হক আমিন, ফিরোজ হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, নুরুল আমিন, মাহবুবুল আলম, আজিজুন নাহার, আব্দুর রাজ্জাক, খলিলুর রহমান প্রমুখ। সভায় ঘোষণাপত্র পাঠ করেন স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের হাওলাদার।

বিজ্ঞাপন

নেতরা বলেন, সারা বিশ্বের শ্রমিকরা লড়ছে এবং বাংলাদেশের শ্রমিকদেরকেও লড়তে হচ্ছে কাজ, ন্যায্য মজুরী, কর্মঘণ্টা, জীবিকা ও জীবনের নিরাপত্তা, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, হতাহতজনিত ন্যায্য ক্ষতিপূরণ এবং গণতান্ত্রিক শ্রম আইনের জন্য। কখনো মহামারি, কখনো যুদ্ধের অজুহাতে সবচেয়ে বেশি আঘাত আসে শ্রমিকদের উপর। তাই বিশ্ব শ্রমিক শ্রেণির অংশ হিসেবে আমাদের দেশের শ্রমিক শ্রেণিকেও আন্তর্জাতিক ও জাতীয় ক্ষেত্রের সব চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে শ্রমিক শ্রেণি তথা শ্রমজীবী মানুষদের ঐক্যবদ্ধ করে তাদের সামনে সঠিক পথের দিশা তুলে ধরতে হবে।

তারা আরও বলেন, উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, শোভন কাজ, শোভন কর্মপরিবেশ, সংগঠন করার স্বাধীনতা, আন্দোলন সংগ্রাম-ধর্মঘটের অধিকার ও বাঁচার মতো মজুরি- এসবই আজ শাসকদের কথার ফুলঝুড়িতে পরিণত হয়েছে। বাজার দরের সাথে সঙ্গতি রেখে বাঁচার মতো মজুরি নির্ধারণের কথা উঠলেই সামনে আনা হচ্ছে শিল্প সংকট, বাজার সংকট, করোনার অভিঘাত আর যুদ্ধ পরিস্থিতিকে। শোষণ-লুটপাট, নির্যাতন, কর্মহীনতা, বেকারত্ব, বাজার মূল্যের ঊর্ধ্বগতি যে সমাজের শোষক গোষ্ঠীর দ্বারা সৃষ্ট এবং পরিচালিত সেকথা বিবেচনায় আনা হচ্ছে না।

সমাবেশ থেকে স্কপের পক্ষ থেকে দাবি নামা পেশ করা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে-

১. অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল প্রত্যাহার কর। ধর্মঘটের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা চলবে না।
২. প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক এবং মালিকানা নির্বিশেষে ইপিজেড, ইসিজেডসহ সকল সেক্টরের শ্রমিকদের অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দিতে হবে।
৩. আইন করে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা এবং সেক্টরভিত্তিক মজুরি নির্ধারণ করতে হবে।
৪. অগণতান্ত্রিক ধারাসমূহ বাতিল করে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রবর্তন করতে হবে।
৫. শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা, কর্মক্ষেত্রে হতাহতদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।

এ সব দাবিতে আগামী ১৩ মে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবসহ সারাদেশে সংসদে উত্থাপিত অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল ২০২৩ প্রত্যাহারের দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় তারা।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

শ্রমিক দিবস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর