সফর শেষে দেশের উদ্দেশে লন্ডন ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
৯ মে ২০২৩ ০৯:০২
ঢাকা: জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৮ মে) লন্ডন সময় ৬টা ২০ মিনিটের পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ভিভিআইপি বিমান প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
এসময় বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম। বিমানটির ৯ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আর্র্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা।
এর আগে ৪ মে, প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যসহ কমনওয়েলথভুক্ত দেশের রাজা ও রাণী হিসেবে তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী ক্যামিলার অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সফরের তৃতীয় ধাপে ওয়াশিংটন থেকে লন্ডন যান প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ৬ মে লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানীর অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। লন্ডনের হোটেল ক্লারিজে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি ও তার স্ত্রী সুজানা স্পার্কসও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। যুক্তরাজ্যে সফরকালে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলে অবস্থান করেন। সেখানেই তিনি বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
এর আগে, তিনি তার জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে জাপানের টোকিওতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ দিনের সরকারি সফর শেষ করে ২৯ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে এই সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংকের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে একটি গোলটেবিল বৈঠক এবং বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভার সাথে বৈঠকসহ বেশ কয়েকটি বৈঠক ও একটি নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
গত ২৫ এপ্রিল টোকিও’র স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ চার্টার্ড ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি১৪০৩) প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
জাপানের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
জাপান সফরে তিনি কৃষি, মেট্রো রেল, শিল্প আপগ্রেড, জাহাজ পুনর্ব্যবহার, শুল্ক বিষয়ক, বুদ্ধিবৃত্তিক বৈশিষ্ট্য, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে আটটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
২৬ এপ্রিল শেখ হাসিনা জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তারপর একইদিনে, তিনি চুক্তি স্বাক্ষরের পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য চার জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ হস্তান্তরের পাশাপাশি, একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায়ও যোগ দেন।
সারাবাংলা/এনআর/এমও