১৪ মে থেকে চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে আম পাড়া শুরু
১০ মে ২০২৩ ১২:২৯
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৪ মে থেকে বাণিজ্যিকভাবে ক্রমান্নয়ে গাছ থেকে আম পাড়া শুরু হবে। এদিন শুরু হবে আঁটি, গুটি ও বোম্বাই জাতের আম সংগ্রহ। এরপর ১ জুলাই থেকে বারি-৪ জাতের আম সংগ্রহ শুরুর মাধ্যমে জেলার আম মৌসুমের সমাপ্তি ঘটবে।
মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুর বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ৪ পক্ষের এক বৈঠকের মাধ্যমে আম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে জেলা প্রশাসন, কৃষি কর্মকর্তা, আম বাগান মালিক এবং আম ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা, চুয়াডাঙ্গা সদর কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজ, দামুড়হুদা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, আলমডাঙ্গা উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোহেল রানা, জেলা বিপণন কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কুদ্দুস মহলদার, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, সহসভাপতি কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস ও ফারুক সিদ্দিকী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোমিন হোসেনসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান জানান, ১৪ মে (৩১ বৈশাখ) থেকে আঁটি, গুটি ও বোম্বাই জাতের, ২২ মে (৮ জ্যৈষ্ঠ) থেকে হিমসাগর, ২৫ মে (১১ জ্যৈষ্ঠ) থেকে ল্যাংড়া, ৫ জুন (২২ জ্যৈষ্ঠ) থেকে আম্রপালি (বারি আম-৩), ২১ জুন (৭ আষাঢ়) থেকে ফজলি এবং ১ জুলাই (১৭ আষাঢ়) থেকে আশ্বিনা বারি-৪ জাতের আম সংগ্রহ শুরু হবে। কোনো অবস্থাতেই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অপরিপক্ক আম পাড়া যাবে না।
এ ছাড়া, আম পাকানো ও সংরক্ষণের জন্য কোনো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় আম পাকানো হলে বা পাকানোর উদ্দেশ্যে মজুত করা হলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ও নিরাপদ খাদ্য আইন অনুয়ায়ী যথাযথ নেওয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, ‘জেলার জন্য আম সংগ্রহের যে সূচী দেওয়া হয়েছে, তার বাইরে কেউ অপরিপক্ক আম পাড়তে পারবেন না। কেউ এর ব্যত্যয় ঘটালে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/ইআ