শুল্কছাড় অব্যাহত রাখলে তেল-চিনির দাম কমতে পারে: বাণিজ্যমন্ত্রী
১৪ মে ২০২৩ ১৭:০৫
ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, তেলের ওপর শুল্কছাড় অব্যাহত রাখতে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিনির শুল্কছাড়ের মেয়াদ আগামী ৩১ মে শেষ হবে। চিনির শুল্কছাড় অব্যাহত রাখতেও চিঠি দেওয়া হবে। এনবিআর যদি শুল্কছাড় অব্যাহত রাখে তাহলে বাজারে তেল ও চিনির দাম কমতে পারে।
রোববার (১৪ মে) রাজধানীর বাড্ডায় দেশব্যাপী এক কোটি কার্ডধারী নিম্নআয়ের পরিবারের মাঝে মে মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এসময় টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, নিম্নআয়ের মানুষ যাতে কম মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিসিবির মাধ্যমে তেল, চিনিসহ অন্যান্য পণ্য বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রতি মাসে এক কোটি পরিবারকে একবার করে পণ্য দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশে চিনির চাহিদার প্রায় ৯৯ শতাংশ আমদানি করতে হয়। এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর গত এপ্রিল মাস থেকে শুল্কছাড় অব্যাহত না রাখায় ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি—এসব পণ্য আমদানি নির্ভর। গত বেশ কিছুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়েছে। যেসব পণ্য আমদানি করে দেশে বিক্রি করতে হয় সেগুলোর দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়। আমরা চেষ্টা করি আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য ঠিক রাখার। তারপরও অনেক অসুদোপায়ী ব্যবসায়ী বেশি দামে বিক্রির চেষ্টা করে থাকেন। আমরা এজন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্টদের দিয়ে বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।
উল্লেখ্য, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) প্রতি মাসে একবার এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ডাল, চিনি, তেল ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করে থাকে। এত দিন টিসিবিতে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৬০ টাকা। আজ থেকে প্রতি কেজি চিনির দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে ৭০ টাকা করা হয়েছে। তবে চিনির দাম বাড়লেও মসুর ডাল আগের মতোই ৭০ টাকা ও সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা দামেই বিক্রি হবে।
সারাবাংলা/জিএস/আইই