Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইউক্রেনে এফ-১৬ পাঠাতে রাজি যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২০ মে ২০২৩ ০৯:২৮

ইউক্রেনে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান পাঠানোর ব্যাপারে শুরু থেকেই নেতিবাচক ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার উন্নত দেশের জোট জি৭-এ অংশ নিয়ে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

শুক্রবার (১৯ মে) জাপানের হিরোশিমায় সম্মেলনে বাইডেন জি৭ নেতাদের জানান, মার্কিন এফ-১৬এস সহ অন্যান্য অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ইউক্রেনকে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে মিত্রদের সহায়তা করবে তার প্রশাসন।

বিজ্ঞাপন

জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান হিরোশিমায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জাপানে জি৭ নেতাদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

জ্যাক সুলিভান বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে আমরা এবং মিত্ররা পাল্টা আক্রমণ চালানোর জন্য ইউক্রেনে যুদ্ধাস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার দিকে মনোযোগী ছিলাম। আমরা ইউক্রেনকে সেটাই দিচ্ছি যার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।’

অত্যাধুনিক এফ-১৬এস উড়ানোর জন্য ইউক্রেনের পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বলে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রশিক্ষণে আকাশে আমাদের বিমানবাহিনীর শক্তিমত্তা ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে।’

উল্লেখ্য, এফ-১৬এস যুদ্ধবিমানের নির্মাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এফ-১৬এস ইউক্রেনে সরবরাহের জন্য ওয়াশিংটনের অনুমতি জরুরি ছিল। এখন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মিত্র দেশ চাইলে আমদানি করা এই যুদ্ধবিমান ইউক্রেনে রফতানি করতে পারবে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৬ মে) ইউক্রেনে পশ্চিমা যুদ্ধবিমান সরবরাহের জন্য একটি জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুতে। এদিন আইসল্যান্ডে কাউন্সিল অব ইউরোপ সম্মেলনে সুনাক-রুতের এক বৈঠকের পর এ ঘোষণা আসে।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী সুনাক এবং প্রধানমন্ত্রী রুতে সম্মত হয়েছেন যে, তারা ইউক্রেনের যুদ্ধবিমান সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একটি আন্তর্জাতিক জোট গঠনের জন্য কাজ করবেন। প্রশিক্ষণ বিমান থেকে শুরু করে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সংগ্রহের জন্য এই জোট সবকিছু করবে।

মার্কিন এফ-১৬এস যুদ্ধবিমান বেশ কয়েকটি দেশ ব্যবহার করে থাকে। এর মধ্যে ন্যাটোভুক্ত দেশের সংখ্যাই বেশি। তবে যুক্তরাষ্ট্র নিজে ইউক্রেনে কোনো এফ-১৬এস যুদ্ধবিমান পাঠাবে কি না—এমন সিদ্ধান্ত এখনও জানা যায়নি।

গত কয়েক মাস ধরে রুশ অধিকৃত অঞ্চল পুনর্দখলে পাল্টা আক্রমণ চালানোর জন্য পশ্চিমা মিত্রদের কাছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গত সপ্তাহে তিনি ইউরোপ সফর করেছেন। ইউরোপের প্রত্যেক মিত্রের কাছেই তিনি যুদ্ধবিমান সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। এবার জি৭ বৈঠকে অতিথি হিসেবে যোগ দিতে হিরোশিমায় যাচ্ছেন তিনি। বৈঠকে যোগদানের আগেই অবশ্য জো বাইডেন ইউক্রেনের জন্য সুখবর দিলেন।

তবে এফ-১৬এস-এর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান এখনই ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে না। এফ-১৬এস যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণ বেশ সময়সাপেক্ষ বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি জানান, ইউক্রেনীয় পাইলটদের প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধবিমান সরবরাহে সবমিলিয়ে অন্তত ১৮ মাস সময় প্রয়োজন।

ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, সামনের মাসগুলোতে ইউরোপে ইউক্রেনীয় পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর মধ্যে আমাদের জোটের দেশগুলো ঠিক করবে কবে কিভাবে কতটি যুদ্ধবিমান ইউক্রেনে পাঠানো হবে। এছাড়া কোন কোন দেশ ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠাবে সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সারাবাংলা/আইই

ইউক্রেন এফ-১৬ রাশিয়া

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর