রাজবাড়ীতে ধর্ষণ-গর্ভপাতের মামলায় গ্রেফতার ১
৯ মে ২০১৮ ১৪:৩৮ | আপডেট: ৯ মে ২০১৮ ১৪:৩৯
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বাকছিডাঙ্গী গ্রামে নবম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও পরবর্তীতে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হোসেন শেখ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্তের মা ডালিম বেগমকে পুলিশ খুঁজছে।
গত মঙ্গলবার (০৮ মে) রাত ১০টার দিকে বালিয়াকান্দি থানায় দায়ের করা মামলায় ওই মাদরাসা ছাত্রী জানায়, হোসেন শেখ ও আমার বাড়ি পাশাপাশি। হোসেন বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও মাদরাসায় যাওয়া আসার পথে প্রায়ই আমাকে বিয়ে করার কথা বলে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। এতে আমি রাজী না হওয়ায় সে আমাকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দিতে থাকে। গত ২৬ জানুয়ারি রাতে সে আমাকে ফুঁসলিয়ে এলাকার এক ব্যক্তির গোয়াল ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করে। এতে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি।
ওই ছাত্রী আরও অভিযোগ করেন, গত ২ মে হোসেন বিয়ে করার কথা বলে বালিয়াকান্দি শহরে আমার অপরিচিত একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সে সময় তার মা ডালিম বেগমও সঙ্গে ছিলেন। ওই বাড়িতে মা- ছেলে মিলে আমাকে একটি ওষুধ খাওয়ায়। এতে আমি অচেতন হয়ে পড়ি। এরপর তারা আমাকে গর্ভপাত করায়। আমার জ্ঞান ফেরার পর দেখতে পাই যে, আমরা তিনজন একটি অটোর মধ্যে বসে আছি। তখনই আমি আমার গর্ভপাত করানোর বিষয়টি বুঝতে পারি। এরপর হোসেন ও তার মা ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হবার ভয়ে আমাকে নিজ বাড়িতে না নিয়ে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গোপালদী গ্রামে আমার খালাবাড়িতে পৌঁছে দেয়। আমি খালা বাড়িতে কিছুদিন থেকে সুস্থ্য হয়ে মঙ্গলবার বাড়িতে ফিরি এবং পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে ওইদিন রাতেই মামলা দায়ের করি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বালিয়াকান্দি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কায়ছার হামিদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হোসেন শেখ ঘটনার সত্যতা ও নিজের দোষ স্বীকার করেছে। ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামি ডালিম বেগমকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সারাবাংলা/টিএম/এমএস
** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook