উপবৃত্তি নিয়ে নগদকে জড়িয়ে গুজব ছড়ানোয় মামলা
৭ জুন ২০২৩ ২৩:৫৮
ঢাকা: সরকারি ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণকে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা নগদ যেভাবে ডিজিটালাইজড করেছে, সেই সাফল্যকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে একটি কুচক্রী মহল। আইনি প্রতিকার পেতে এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছ।
বুধবার (৭ জুন) রাজধানীর বনানী থানায় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে মামলা করা হয়। নগদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো কিছু ফেসুবক পেইজ ও কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
সম্প্রতি নগদের প্রাথমিক শিক্ষায় উপবৃত্তি বিতরণে ঈর্ষান্বিত হয়ে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টির লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এর প্রতিকার চেয়ে রাজধানীর বনানী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর অধীনে নগদের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।
সরকারের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে কাজ করা নগদ’র মাধ্যমে সকল সরকারি ভাতা প্রান্তিক পর্যায়ে বিতরণ করতে ২০২০ সালের শুরুতে একটি অনুশাসন জারি করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন সরকারি সংস্থা বিদেশি অংশীদারত্বের অন্য বেসরকারি মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভাতা বিতরণ করে আসছিল। কিন্তু সেসব বিতরণ কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি ভাতাভোগীরা তাদের ভাতা না পাওয়াসহ বিভিন্ন রকম অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে সরকারও সন্তুষ্ট ছিল না। ফলে সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকার অনেকগুলো আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে নগদকে ভাতা বিতরণের জন্য বেছে নিয়েছে।
সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থীর মাঝে উপবৃত্তি এবং শিক্ষা উপকরণ বিতরণে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নগদকে বেছে নিয়েছে। আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয় এবং সংস্থাও ভাতা বিতরণের জন্য নগদকেই এককভাবে বেছে নিতে যাচ্ছে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছে চক্রটি।
এর আগেও নানাভাবে ফেসবুক এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে চক্রটি। এমনকি নগদের ইমেজ ক্ষুণ্ন করার প্রচেষ্টায় তারা লিফলেট পর্যন্ত বিতরণ করে। তখনো সুনির্দিষ্ট কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নগদ এখতিয়ারাধীন বিজ্ঞ আদালতে মামলা করে এবং আদালতের নির্দেশনায় বাংলাদেশ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে বিদেশি মালিকানায় থাকা একটি মোবাইল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বেশকিছু কর্মকর্তার নাম চলে আসে। বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে নগদের স্ট্রাটেজিক রিলেশন্স অ্যান্ড এলইএ অপারেশন্স’র চিফ লে. কর্নেল (অব.) কাওসার সওকত আলী বলেন, ‘বিভিন্নভাবে আমরা বরবার আক্রান্ত হচ্ছি। এবার সরকারি দায়িত্ব আমাদের কাছে আসার পরে আক্রমণের হার আগের যেকোনো সময়কে ছাড়িয়ে গেছে। অপপ্রচার ও নোংরা আক্রমণের শিকার হয়ে অবশেষে নগদ কর্তৃপক্ষ আইনের আশ্রয় নিয়েছে। নানা তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে এবং তার পরিপ্রেক্ষতেই মামলা হয়েছে। আমরা আশা করছি, বিভিন্ন সরকারি ভাতা বিতরণের বিপক্ষে ভিত্তিহীন অপপ্রচারের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’
এর আগেও নগদের যাত্রার সময় থেকেই কুচক্রী মহলটির আক্রমণের শিকার হয়েছে। তখন নগদের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা, নগদের কর্মীদের ওপর আক্রমণ করাসহ প্রান্তিক পর্যায়ের কোনো এজেন্টকে নগদের সেবা না রাখতে দেওয়াসহ বিভিন্ন কৌশল নিতে থাকে তারা। নগদ ওসব ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে এবং আইনের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল।
সারাবাংলা/পিটিএম