শাহীনকে চান না স্থানীয় আ.লীগ, বিএনপিতেও রয়েছে দ্বন্দ্ব-কোন্দল
২৪ জুন ২০২৩ ০৮:০০
যশোর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত, কপোতাক্ষ নদ, নকশিকাঁথা, খেজুরের গুড় আর জামতলার রসগোল্লা— প্রসিদ্ধ এসব জিনিস নিয়ে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের তীর্থভূমি যশোর। এই জেলার সংসদীয় আসন ছয়টি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই আসনগুলোতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বড় দল এবং দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকায় এই জেলার প্রায় প্রতিটি আসনে এবার দলের মনোনয়ন চাওয়া প্রার্থীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকেই মাঠে নেমেছেন। তারা বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি কেন্দ্রেও যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। এছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেক জায়গায় অভ্যন্তরীণ বিরোধের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। তবে সবার কথা একটিই— নেত্রী যাকে নৌকা দেবেন তার জন্য সবাই একযোগে কাজ করবেন।
এদিকে, রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। আর কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাঠে আছে স্থানীয় বিএনপি। তবে দলটির নেতাকর্মীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের মাঠে নামেনি। কোথাও নির্বাচনমুখী প্রচার বা দলীয় কর্মকাণ্ড নেই তাদের। কেন্দ্র সিদ্ধান্ত দিলে নির্বাচনমুখী হবেন তারা। সেক্ষেত্রে যাকেই ধানের শীষ দেওয়া হোক না কেন সবাই তার জন্য কাজ করবেন। তাই নমিনেশন পাওয়া নিয়ে দলটিতে লড়াইয়ের তেমন তীব্রতা নেই। অপরদিকে, জাতীয় পার্টিরও আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড তেমন চোখে পড়েনি। আর নিবন্ধন ও রাজনৈতিক জটিলতায় জামায়াতে ইসলামীর দলীয় অবস্থানও সেভাবে চিহ্নিত হয়নি। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে বোঝা যাবে তারা কীভাবে, কাদের সঙ্গে মাঠে অবস্থান নেবে।
যশোরের দক্ষিণ প্রান্তের উপজেলা কেশবপুর। এই উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন। এখানে আওয়ামী লীগের বিপুল ভোট রয়েছে। তবে বিএনপি-জামায়াতের ভোটসংখ্যাও কম নয়। ফলে নির্বাচনে দ্বিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলে আওয়ামী লীগকে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে। এই আসনের বর্তমান এমপি সদরের মানুষ। তাই স্থানীয় নেতারা আসনটি নিজেদের কাছে রাখতে চান। আর এ জন্য দলে রয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। যদিও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি আছে আন্দোলন নিয়ে। তবে আন্দোলনের ডামাডোলে ব্যস্ত থাকলেও তাদের চোখ কিন্তু নির্বাচনের দিকে। যদি তাদের দাবি অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এই আসনে। কিন্তু তাদের দলেও মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর বড় দুই দলের ভেতরের দ্বন্দ্ব বা কোন্দলের সুযোগকে কাজে লাগতে মাঠে নামতে চাচ্ছে জাতীয় পার্টি ও জামায়াত। সভা, সমাবেশ ও গণসংযোগের মাধ্যমে প্রতিটি দলের প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন:
- আ.লীগে নাসির-রফিকুল দ্বৈরথ, বিএনপির ‘আস্থা’ মুন্নিতে
- আফিলের দুর্গ ভাঙতে চান লিটন, ‘তৃপ্তি’তে তুষ্ট নয় বিএনপি
- নাবিলের আসনে চাকলাদারের চোখ, বিএনপির আস্থা অনিন্দ্যে
- রণজিৎ’র সঙ্গে দূরত্বে আ.লীগে একাধিক প্রার্থী, বিএনপির ভরসা আইয়ুব
এই আসনে আওয়ামী লীগের দু’জন, বিএনপি’র তিন জন এবং জামায়াত ও জাতীয় পার্টির একজন করে সম্ভাব্য প্রার্থী আলোচনায় আছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমীর হোসেন। বিএনপি থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও কেশবপুর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু ও কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস। এছাড়াও মাঠে রয়েছেন উপজেলা জামায়াতের আমির মোক্তার আলী এবং জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব।
বিগত ১১টি সংসদ নির্বাচনের ফলাফলেও এর প্রভাব রয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১৯৭০ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (কেশবপুর, মনিরামপুর, অভয়নগর তিন উপজেলা নিয়ে তৎকালীন আসন) নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সুবোধ মিত্র বিজয়ী হন। ১৯৭৩ সালে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, তিনি এখন যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের বাসিন্দা। ১৯৭৯ সালে শুধু কেশবপুরকে নিয়ে সংসদীয় আসন যশোর-৬ গঠিত হলে বিএনপি থেকে ধানের শীষ নিয়ে বিজয়ী হন গাজী এরশাদ আলী। ১৯৮৬ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আব্দুল হালিম বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চাকা মার্কা নিয়ে বিজয়ী হন। ১৯৮৮ সালে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের। এরপর ১৯৯১ সালে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে দল বদল করে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মওলানা সাখাওয়াত হোসেন পুনরায় বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের জুনে সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন সাবেক আমলা ও মন্ত্রী আওয়ামী লীগের এএসএইচকে সাদেক। ২০০১ সালের নির্বাচনেও তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে ফের সীমানা পরিবর্তন হলে (কেশবপুর, অভয়নগর ও মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন) সংসদীয় আসন-৬ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন সাবেক হুইপ অভয়নগরের অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওহাব। এরপর ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে পূর্বের সীমানায় (শুধু কেশবপুর উপজেলা) নৌকা প্রতীক নিয়ে পর পর দু’বার নির্বাচিত হন প্রয়াত শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচকে সাদেকের স্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক। তিনি মারা যাওয়ার পর ২০২০ সালে উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনে টানা দ্বিতীয় বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক। একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেও ২০২০ সালে তিনি মারা যান। এর পর উপ-নির্বাচনে দল নৌকা প্রতীক তুলে দেয় দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের হাতে। এবারও তিনি অন্যতম মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি বেশি খুশি হবেন যশোর-৩ (সদর) আসনের মনোনয়ন পেলে। সেজন্য তিনি সদর ও কেশবপুর দুই আসনের যেকোনো একটিতে মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে দুই আসনেই তার বিরোধীপক্ষের শক্ত অবস্থান রয়েছে।
যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যশোরের ছয়টি আসন নিয়েই কাজ করছি। ব্যক্তি নয়, নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য কর্মতৎপরতা শুরু হয়েছে। জেলার ছয়টি আসনে নৌকা যারা পাবেন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করবে। এখানে ব্যক্তি শাহীন চাকলাদারের কোনো ভাবনা নেই। তবে অবশ্যই আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী।’
আওয়ামী লীগ থেকে আরেব মনোনয়ন প্রত্যাশী কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমীর হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছে। এলাকায় উন্নয়নও হয়েছে। তবে বর্তমান এমপির ব্যক্তিগত অনেক কর্মকাণ্ড সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ফলে প্রার্থী মনোনয়নে সামগ্রিক মূল্যায়ন প্রয়োজন। এর আগেও মনোনয়ন চেয়েছিলাম, এবারও চাইব।’
তবে এই আসনটি একেবারে নিষ্কণ্টক নয় বিএনপির জন্যে। বিএনপি’র এখানে মনোনয়ন প্রত্যাশী আবুল হোসেন আজাদ। কিন্তু আবুল হোসেন আজাদ ও সামাদ বিশ্বাস গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কোন্দল চলছে। ফলে যে প্রার্থী হবেন তার উপর নির্বাচনের ফলাফল অনেকটাই নির্ভর করছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে এসব কথা প্রত্যাখ্যান করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাবেরুল হক সাবু। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা অবাদ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে এক দফার আন্দোলনে রয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়কের হাতে ক্ষমতা না দিচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। নির্বাচনে গেলেই কেবল প্রার্থিতার প্রশ্ন। দলীয় হাই কমান্ড যাকে মনোনয়ন দেবে, তার সঙ্গে থাকব। আমাদের কোনো বিভাজন নাই।’
কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু সারাবাংলাকে বলেন, ‘ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে রাজনীতি শুরু করেছি। যুবদল হয়ে এখন কেন্দ্রীয় বিএনপিতে রাজনীতি করছি। এলাকায় নিয়মিত যাতায়াত ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দলীয় কর্মসূচি পালন করছি। জনসম্পৃক্ত কর্মসূচিতে বিপুল সমাগম বলে দেয় বিএনপি’র জনসমর্থন। দল নির্বাচনে গেলে মনোনয়ন চাইবেন এবং দল যাকেই মনোনয়ন দিক, ধানের শীষকে বিজয়ী করতে মাঠে থাকব।’
এদিকে, দু’টি দলই আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে নতুন কমিটি গঠনসহ নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করছে। পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন নিয়েও কেশবপুরের রাজনীতি উত্তাপ ছড়াচ্ছে।
উল্লেখ্য, কেশবপুরে বর্তমান ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ১১ হাজার ৭৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৬১৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫ হাজার ১৭৫ জন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইসমাত আরা সাদেক বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির আবুল হোসেন আজাদ। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ৫ হাজার ৬৫৩ ভোট। ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক মারা যান। ওই বছরের ১৪ জুলাই উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজয়ী হন উপজেলা চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের শাহীন চাকলাদার। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ২৪ হাজার ৩ ভোট।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইসমাত আরা সাদেক বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৫২ হাজার ৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনএফ-এর প্রশান্ত বিশ্বাস। টেলিভিশন প্রতীকে তিনি পান মাত্র ১ হাজার ২ শত ৩৪ ভোট। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ আব্দুল ওহাব বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৫৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির আবুল হোসেন আজাদ। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ২৪ হাজার ৯২০ ভোট।
সারাবাংলা/টিএম/পিটিএম
অমলেন্দু দাস অপু আবুল হোসেন আজাদ এইচ এম আমীর হোসেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শাহীন চাকলাদার