দেশি-বিদেশি চক্রান্তে জঙ্গি হামলা চালানো হয়: ডিএমপি
১ জুলাই ২০২৩ ১২:৪৯
ঢাকা: ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ‘আজ থেকে ৭ বছর আগে ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজানে বিদেশি নাগরিকদের অতর্কিতভাবে জঙ্গিরা জিম্মি করে ও তাদের হত্যা করে। এ সময় তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে দুইজন সিনিয়র পুলিশ সদস্য শহিদ হন। আজকেও আমাদের মনে এটা দগ্ধ ঘায়ের মতো জ্বলে। দেশি-বিদেশি চক্রান্তে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করতে ২০১৫-১৬ সালে বিভিন্ন জঙ্গি হামলা চালানো হয়।’
শনিবার (১ জুলাই) সকালে গুলশানে হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলায় শহিদ দুই পুলিশ সদস্যের ম্যুরালে শ্রদ্ধা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।
খন্দকার গোলাম ফারুক আরও বলেন, ‘হলি আর্টিজান হামলার পর উন্নয়ন সহযোগীরা কাজ বন্ধ করে ভয়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে থাকে। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার নেতৃত্বে পুলিশ ও জনগণ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। সমস্ত উন্নয়ন সহযোগীদের স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়, বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিদের উৎখাত করব, আপনারা ফিরে আসেন।’
তিনি বলেন, ‘তারপর উন্নয়ন সহযোগীরা দেশে ফিরে আসেন এবং উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। এরপর থেকে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করা, গ্রেফতার করা ও বিচারে সোপর্দ করা অব্যাহত ছিল। ফলে সমগ্র বাংলাদেশে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আছে। জঙ্গিবাদ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি, এইটা নিয়ন্ত্রণে আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হলি আর্টিজান হামলায় বিদেশিসহ মোট ২২ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় সিটিটিসি তদন্ত করে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। যদিও এ ঘটনার অনেক অভিযুক্ত বিভিন্ন সময় জঙ্গি হামলা করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে মারা যান। আর বাকিদের সাজা হয়ে গেছে। আমরা এখন বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। আশা করি ভবিষ্যতে জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ ধরে রাখতে পারব।’
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘জেএমবি, নব্য জেএমবিসহ জঙ্গিবাদ নাই বলেও চলে। তবে জঙ্গিবাদের সুপ্ত বীজ লুকিয়ে থাকতে পারে। তবে নতুন কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই সংগঠনের ডাকে অনেক তরুণ হিজরত করেছিল, পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। আমাদের পুলিশ র্যাব তাদের অনেককে গ্রেফতার করেছে। আবার অনেকে ভুল বুঝতে পেরে আত্মসমর্পণ করেছেন। আমরা কয়েক দিন আগেও শারক্বীয়ার প্রধানকে গ্রেফতার করেছি। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। যে নামেই আসুক না কেন তারা বাংলাদেশ স্থান পাবে না বলে আশা করছি।’
এদিকে গুলশানে পুলিশের ম্যুরালে জাপান, ভারত, আমেরিকা ও ইতালিসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস শ্রদ্ধা অর্পণ করে।
সারাবাংলা/জিএস/এনএস