পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে মধ্যরাতে যুবক খুন
৯ জুলাই ২০২৩ ১৭:১৪
ঝিনাইদহ: মধ্যরাতে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিন দিন পর ওই যুবকের মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল।
পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে শনিবার (৮ জুলাই) মধ্যরাতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা মাস্টার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মেহেদী হাসান (২৪) কালীগঞ্জ ফয়লা মাস্টারপাড়ার সফর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানা পুলিশ রাতেই ঘাতক আকরাম হোসেনকে আটক করেছে। আটক আকরাম একই এলাকার তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় রোববার (৯ জুলাই) সকালে নিহতের মা বাদী হয়ে দুই জনের নামে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিহতের স্ত্রী আকলিমা বেগম জানান, রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তার স্বামীর মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। এর পর পরই সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। বেশ কিছু সময় পর তিনি জানতে পারেন প্রতিবেশি আকরামের বাড়িতে পড়ে আছে তার স্বামীর রক্তাক্ত দেহ। এর পর সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, তিন দিন পর তার স্বামীর মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল। তাদের পাঁচ মাস বয়সী একটা কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি তার স্বামী হত্যার বিচার চান।
নিহত মেহেদীর মা সাবিয়া বেগম জানান, পাশের বাড়ির আকরাম হোসেনের কাছে তার ছেলে কিছু টাকা পেত। ওইদিন রাতে ফোন দিয়ে তার ছেলেকে ডেকে নেওয়ার পর তারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
তিনি আরও জানান, তার ছেলের মালয়েশিয়া যাবার জন্য ভিসা-পাসপোর্ট ও বিমানের টিকিট রেডি হয়ে গেছে। কিন্তু ঘাতক সাদ্দাম ও আকরাম হোসেন মিলে তার সব স্বপ্ন শেষ করে দিল।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুবুর রহমান জানান, পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে কোন্দলে হত্যাকাণ্ডটি ঘটনা ঘটেছে বলে নিহতের পরিবার দাবি করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
সারাবাংলা/ডব্লিউআর/পিটিএম