জন্ম-মৃত্যুর নিবন্ধন তথ্য গায়েবের বিষয়ে প্রতিবেদন ১০ আগস্ট
৯ জুলাই ২০২৩ ২৩:৪২
ঢাকা: সার্ভার থেকে জন্ম ও মৃত্যুর নিবন্ধনের বিপুল সংখ্যক তথ্য গায়েব হওয়ার অভিযোগের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলে ১০ আগস্ট পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের দেওয়া এক প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর রোববার (৯ জুলাই) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এদিন প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।
পরে আইনজীবী তানভীর আহমেদ জানান, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন। কিন্তু সেটি অসম্পূর্ণ হওয়ায় আগামী ১০ আগস্ট পরবর্তী তারিখ রেখেছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
২০২২ সালের ১২ মার্চ দৈনিক প্রথম আলোতে ‘জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে নাগরিকেরা’ এবং একই সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিবিসি বাংলা ‘জন্মসনদ: বাংলাদেশে কয়েক কোটি মানুষের জন্মনিবন্ধন তথ্য সার্ভারেই নেই’ শীর্ষক প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের দায়িত্বে থাকা রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, আগে জন্ম নিবন্ধন করে সনদ নিয়েছেন এমন কয়েক কোটি মানুষকে এখন সম্পূর্ণ নতুন করে অনলাইনে জন্মনিবন্ধন করাতে হবে। কারণ, তাদের আগের নিবন্ধন গায়েব হয়ে গেছে।’
এসব ব্যক্তির জন্মনিবন্ধন অনলাইনে আপডেট করা হয়নি এবং এখন নতুন সার্ভারে আর পুরনো তথ্য স্থানান্তর করা সম্ভব হবে না। পাশাপাশি স্কুল শিক্ষার্থীদের একটি বিরাট অংশের ফের একাধিক অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের ঘটনাও বেরিয়ে এসেছে। যা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ২৯ মে হাইকোর্ট রুল জারি করে আদেশ দেন।
হাইকোর্টের এ আদেশের পর ৪ অক্টোবর একজন উপ-রেজিস্ট্রার জেনারেলকে (প্রশাসন) আহ্বায়ক ও একজন সহকারী রেজিস্ট্রার জেনারেলকে সদস্য সচিব করে চার সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। এ কমিটির পর্যবেক্ষণ ও মতামতের ভিত্তিতে দেওয়া প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইনপুটকৃত তথ্যই এই সার্ভারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষিত হয়। কিন্তু অনেক নিবন্ধক কার্যালয় তাদের আগের হাতে লেখা জন্মনিবন্ধনের তথ্যাদি অনলাইনভুক্ত না করায় অনেক নাগরিকের তথ্য সার্ভারে নেই। এক্ষেত্রে সার্ভার থেকে তথ্য উধাও হয়ে যাওয়া বা সার্ভারের সংরক্ষিত তথ্যের গোপনীয়তা নষ্ট হওয়ার কোনো বিষয় জড়িত নয়। কোনো ডাটা চুরি হয়নি। ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ নষ্টও করেনি বা উধাও করেনি।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সিস্টেমের (বিডিআরআইএস) সার্ভার থেকে বিপুল জন্মনিবন্ধন তথ্য উধাও হয়ে যাওয়ার বিষয়টি মূলত ঠিক নয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম