শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ কর্মসূচিত রাজপথে থাকবে আ.লীগ
১৪ জুলাই ২০২৩ ২০:৫৪
ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ’ কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী সেপ্টেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সতর্কতার সঙ্গে রাজপথে থাকব।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন। ঢাকা মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের শুরুতে এই ঘোষণা দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন থেকে আমাদের আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিভিন্ন পর্যায়ে সমাবেশ হবে। সমাবেশের শিরোনাম হবে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ। আগামী ৩০ জুলাই আমাদের নেত্রী রংপুরে যাবেন। আগস্টেও ব্যাপকভাবে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ হবে। সে প্রোগ্রামের সূচি তৈরি হচ্ছে। জেলা পর্যায়েও নেত্রীর যাওয়া দরকার আছে। কারণ মহামারির কারণে গ্যাপ হয়ে গেছে। আমাদের সেখানেও প্রস্তুতির বিষয় আছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বরে নির্বাচনের সিডিউল (তফসিল) ঘোষণা পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সতর্কতার সঙ্গে রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব। এটা হলো অভিন্ন কর্মসূচি। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দরকার। সেই পরিবেশ আমরা রক্ষা করব। কারও কোনো উস্কানিতে বা খারাপ আচরণের জন্য নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষুণ্ন হয়েছে- এই দুর্নাম নিতে চাই না।’
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের প্রথম ধাপ শুরু হচ্ছে আগামী ১৮ জুলাই। এদিন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন ১৯ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সাত রাস্তা থেকে মহাখালী পর্যন্ত শোভাযাত্রা করা হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি আসলে চিত্রটা বুঝে গেছে। তারা সেই ডিসেম্বর থেকে গণঅভ্যুত্থানের ডাক দিয়ে এখন সেখান থেকে পদযাত্রা। তার মানে অবনতি হয়েছে। তাদের কর্মীরা এখন হতাশ। নেতাদের দোষারোপ করছে। সেদিনও একটা আওয়াজ দিয়েছিল। আমাদের মনে হয়েছিল, সেদিনেই বুঝি সরকার উত্খাত করে ক্ষমতা দখল করবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিরা এসেছেন। সবাই যে শুধু নির্বাচনের জন্য আসছেন, সেটা কিন্তু না। তারা প্রথমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছেন। তারা আসার আগে বিএনপি তাদের অপপ্রচারের মাধ্যমে যে ধারণা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, এবার আর সরকারের উপায় নাই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার প্রতিনিধিরা সরকারকে বিপদে ফেলবে। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসবে। হয়ত সরকারকে বলে দেবে, এভাবে নির্বাচন করও, পার্লামেন্ট ভেঙে যাবে। জনমনে একটা ধারণা ছিল। শেষ পর্যন্ত কি হলো? তাদের একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন তাদের কাম্য, বন্ধু দেশ হিসেবে তারা বলেছে। ভিসা নীতি আসবে, এ ধরনের কোনো উক্তি তারা করেননি। সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা তারা বলেছেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে তারা কিছু বলেননি।’
বিএনপির চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা যেটা মনে করি বিএনপি মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে বিদেশিদের কাছে যে পক্ষপাতমূলক সমর্থন চেয়েছিল, সেটা ব্যর্থ হয়েছে। বিদেশিরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার কথা বলেছেন।’
বৈঠকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদফতর সায়েম খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/এনএস