মহিউদ্দিনের কুলখানিতে পায়ের চাপায় নিহত ১০
১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৪:২৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানি অনুষ্ঠানে পায়ের চাপায় পিষ্ট হয়ে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত জন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ১০ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানি উপলক্ষে চট্টগ্রামের ১২টি কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানের আয়োজন করা হয়। বন্দরনগরীর আসকার দিঘীরপাড়ে রিমা কমিউনিটি সেন্টারে সোমবার দুপুর ২টার পর এ দুর্ঘটনা ঘটে। কুলখানি উপলক্ষে নগর আওয়ামী লীগ ও পরিবারের পক্ষ থেকে দেড় থেকে দুইলাখ মানুষের খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল।
এরমধ্যে রিমা কমিউনিটি সেন্টারে সংখ্যালঘুদের জন্য কুলখানির খাবারের আয়োজন করা হয়।
আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মাথা ও বুকে আঘাত লেগেছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকদের জানান, রিমা কমিউনিটি সেন্টারে অনেক মানুষের ভিড় ছিল। পেছন থেকে হঠাৎ করে ধাক্কা শুরু হওয়ায় কিছু লোক গেটের ভেতরে পড়ে যান। এতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
কুলখানিতে নিহত ১০ জন হলেন ঝন্টু দাস, লিটন দেব, সুবীর, সুজিত দাস, দুলাল, আশিস বড়ুয়া, টিটু, কৃষ্ণপদ, প্রদীপ তালুকদার এবং ধনাশীল।
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এরইমধ্যে উপস্থিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা আহদের চিকিৎসার খোজ-খবর নিচ্ছেন। প্রয়োজনে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, নিহতদের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।
এদিকে রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলুল করিম জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নিহত পরিবারকে এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়া তাদের সমাধিস্থ করার যাবতীয় প্রক্রিয়া সরকারের সহযোগিতায় করা হবে।
নিহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার (সিএমপি) ইকবাল বাহার।
তিনি জানান, নগরীর যে ১৪টি জায়গায় কুলখানি হচ্ছিল প্রত্যেকটি জায়গায় আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়েছি। রিমা কমিউনিটি সেন্টারে প্রবেশের যে পথ, সেটি ১০ ফুট ঢালু। ভেতরে প্রবেশ করার সময় কিছু লোক পড়ে গেলে তাদের মাড়িয়ে বাকিরা ভেতরে যায়। এখানে মারামারি-হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি।
শেষ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যারা আহত হয়েছেন তারা চিকিৎসাধীন। আমরা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি, খোঁজ নিয়েছি যেন তারা আন্তরিক চিকিৎসা পায়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যারা চিকিৎসাধীন তাদের মধ্যে কেউ আশঙ্কাজনক অবস্থায় নেই। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে নিহতের সংখ্যা আর বাড়বে না।
সারাবাংলা/এটি/একে
চমেক হাসপাতালে স্বজনের ভিড়, ৬ জনের পরিচয় শনাক্ত
আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী : নওফেল
‘মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে এমন, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য’
পুলিশ কমিশনার জানালেন, ঢালুতে পড়েই ১০ প্রাণ গেছে