Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জুলাই মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ২০৪, আক্রান্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩১ জুলাই ২০২৩ ২৩:১৭

ঢাকা: দেশে শুধুমাত্র জুলাই মাসে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন। এর মাঝে মারা গেছেন ২০৪ জন।

দেশে জুলাই মাসে এর আগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এত বেশি সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। সরকারি তথ্য মতে এর আগে কোনো বছরেই জুলাই মাসে এতো বেশি মৃত্যু ঘটেনি।

সর্বশেষ রোববার (৩০ জুলাই) থেকে সোমবার (৩১ জুলাই) পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৬৯৪ জন। এই ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চার জন।

সোমবার (৩১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।

সরকারি এই সংস্থার তথ্যমতে, দেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৫১ হাজার ৮৩২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মাঝে শুধু জুলাই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন। অর্থাৎ জুলাই মাসে দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

চলতি বছর দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৫১ জন। এর মাঝে শুধুমাত্র জুলাই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২০৪ জন। অর্থাৎ চলতি বছরের প্রায় ৮২ শতাংশ ডেঙ্গ আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ঘটেছে এই জুলাই মাসে।

দেশে জুলাই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৫ হাজার ৫৫৩ জন। দেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৪২ হাজার ১৯৫ জন হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

‘মশা মারতে না পারলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে’

বিজ্ঞাপন

সারাদেশে এডিস মশা মারতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব কঠিন হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, শুধু ঢাকা নয়, ডেঙ্গু যতটা মেডিকেল প্রবলেম, তার থেকে বেশি ইউনিভার্নমেন্টাল প্রবলেম। যে জায়গায় পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং বেশি জরুরি।

তিনি বলেন, ‘প্রাইমারি হেলথ এবং পাবলিক হেলথ এক নয়। পাবলিক হেলথ হচ্ছে জনগণকে সম্পৃক্ত করে মশা নিয়ন্ত্রণ করা। এগুলো যদি আমরা বৃদ্ধি করতে না পারি, ডেঙ্গু রোগী যদি এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে, আমাদের জন্য ডিফিকালট হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে মশা নিয়ন্ত্রণে একটি ক্রাশ প্রোগ্রাম, যারা এই সমস্ত কাজ (মশা নিয়ন্ত্রণ) করছেন, তারা যদি এই কাজগুলো আরও বেশি বৃদ্ধি করেন, যেভাবে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটা কমানো যাবে এবং ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসাও যথাযথভাবে দেওয়া যাবে।’

অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর আরও বলেন, ‘সারাদেশেই বর্তমানে ডেঙ্গু ছড়িয়েছে। এখন ঢাকা সিটির পাশাপাশি ঢাকার বাইরে রোগীর সংখ্যা বেশি। এডিস মশা যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব কঠিন হবে।’

সারাবাংলা/এসবি/একে

টপ নিউজ ডেঙ্গু

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর