বিটিআই ঠিক আছে: উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং
২৭ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৪৯
ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) সরবরাহ করা জৈব কীটনাশক বিটিআই ঠিক আছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং। রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে ডিএনসিসির সরবরাহ করা নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটি ব্যাসিলাস থুরেনজিয়ানসিস ইসরায়েলেনসিস তথা বিটিআই।
রোববার (২৭ আগস্ট) সিটি করপোরেশনে এ ফলাফল পাঠানো হয়েছে বলে সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের পরিচালক মো. ফরিদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষায় ফলাফল ইতিবাচক এসেছে। আমরা সিটি করপোরেশনে এফিকেসি টেস্টের জন্য পাঠিয়েছি।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) জনসংযোগ বিভাগও জানিয়েছে, উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) কার্যকারিতা পরীক্ষার ফলাফল ইতিবাচক পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন-
টেন্ডারের শর্ত লঙ্ঘন, ‘নকল’ বিটিআইয়ে জনস্বাস্থ্য নিয়ে শঙ্কা
চিনের কোম্পানির কাছেও বিটিআই বিক্রি করেনি ‘বেস্ট কেমিক্যাল’
ডিএনসিসিতে ‘নকল’ বিটিআই: আইনি ব্যবস্থা নেবে সিঙ্গাপুরের কোম্পানি
এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারের রিপোর্ট এবং ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের ফিল্ডে প্রয়োগের রিপোর্টেও বিটিআই শতভাগ কার্যকর পাওয়া গেছে বলে ডিএনসিসি জানিয়েছে।
এর আগে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস নিধনে ডিএনসিসিকে সিঙ্গাপুর থেকে বিটিআই আমদানি করে দেয় মার্শাল অ্যাগ্রোভেট কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড। সারাবাংলার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, মার্শাল সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল থেকে বিটিআই আমদানি করেনি। এতে আসলে বিটিআইয়ের নামে প্রকৃতপক্ষে কী আমদানি করা হয়েছিল, সেই প্রশ্ন ওঠে।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, মার্শাল অ্যাগ্রোভেট সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল থেকে বিটিআই কেনার ঘোষণা দিলেও সেটি তারা আমদানি করেছিল চীন থেকে। বিটিআই আমদানির লাইসেন্সও তাদের ছিল না। অভিযোগ ওঠার পর সিটি করপোরেশন থেকে লিখিত প্রমাণ চাইলে তারা সেটি না দেখানোয় মার্শালকে কালো তালিকাভুক্ত করে সিটি করপোরেশন এবং গুলশান থানায় বিটিআইয়ের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করে। পরে ভুয়া লাইসেন্সে বিটিআই আমদানির অভিযোগে মার্শালের বিরুদ্ধে মামলা করে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
সারাবাংলা/আরএফ/টিআর
এডিস মশা ডিএনসিসি বিটিআই বিটিআই জালিয়াতি মার্শাল অ্যাগ্রোভেট