চবিতে ভাঙচুরের মামলায় আসামি যেসব শিক্ষার্থী
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০১:৩১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) তাণ্ডবের ঘটনায় দুই মামলার আসামি ১৪ শিক্ষার্থীর নাম প্রকাশ করেছে প্রশাসন। এর মধ্যে উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় সাতজন ও পরিবহন দফতরে ভাঙচুরের মামলায় আরও সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী চলন্ত শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে অন্তত ১৬ শিক্ষার্থী আহতের জের ধরে উপাচার্যের বাসভবনের গ্যাসের সঞ্চালন লাইন ভেঙে ফেলাসহ বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ি, শিক্ষক ক্লাব ও পরিবহন দফতরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে হাটহাজারী থানায় দুটি মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মামলা দুটির মধ্যে উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় আসামিরা হলেন— ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শাকিল হোসেন আইমুন, সংস্কৃত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের দীপন বণিক দীপ্ত, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের রিয়াদ হাসান রাব্বি, ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নুর মোহাম্মদ মান্না, ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সৌরভ ভূইয়া, পালি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আমিনুল ইসলাম এবং পদার্থবিদ্যা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন- দুর্ঘটনার জেরে বন্ধ থাকা চবিগামী শাটল ট্রেন চলাচল শুরু
অন্যদিকে পরিবহন দফতরে ভাঙচুরের মামলার আসামিরা হলেন— দর্শন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সাজ্জাদ হোসেন, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মো. ইমরান নাজির ইমন, ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আনিসুর রহমান, ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ বিভাগের নাসির উদ্দিন মো. সিফাত উল্লাহ, সংস্কৃত বিভাগের ২০১৮-১৯ বিভাগের অনিক দাশ এবং বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অনিরুদ্ধ বিশ্বাস ও আজিমুজ্জামান।
চবি প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘উপাচার্যের বাসভবন, পরিবহন দফতর ও শিক্ষক ক্লাবে যারা হামলা করেছে, আমি মনে তারা কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী নয়। নিশ্চয়ই তারা কোনো না কোনো ইন্ধনে এগুলো করেছে। আমি মনে করি, দেশকে অস্থিতিশীল করা, বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করা, জাতীয় নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা— এগুলোই ঘটনার পেছনে মূল কারণ।’
বৃহস্পতিবার রাতে শাটল ট্রেনের দুর্ঘটনাটি ঘটে হাটহাজারীর ফতেয়াবাদ চৌধুরীহাট এলাকায়। ওই সময় আহত ১৬ শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতভর উত্তাল ছিল চবি ক্যাম্পাস। এ সময় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙচুর চালানো হয়। বেশকিছু প্রাইভেট কার, অটোরিকশা, ট্রাকও ভাঙচুরের শিকার হয়।
আরও পড়ুন-
রাতভর বিক্ষোভে উত্তাল চবি, ভিসির বাসভবনে ভাঙচুর
সারাবাংলা/এমএ/টিআর