ভিসানীতিতে কোনো চাপ অনুভব করছি না: তথ্যমন্ত্রী
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:১৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণায় সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণায় সরকার কিংবা আমাদের দল, আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। আমরা এটিকে স্বাগত জানাই। ভিসানীতির পরিপ্রেক্ষিতে বরং বিএনপির ওপরই চাপ সৃষ্টি হয়েছে। তারা বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অবশ্যই অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশি বন্ধুদের বলছি, এদেশ আমাদের, এখানে নির্বাচন কীভাবে হবে সেটি আমরা ঠিক করব, নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। আমাদের গণতন্ত্র শেখাতে হবে না। আমরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা জানি। কীভাবে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় সেটিও আমরা জানি। দেশে অবশ্যই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এবং সেই নির্বাচনে ধসনামা বিজয়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার প্রধান হবেন।’
তথ্যমন্ত্রী বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিএনপি বলেছে অক্টোবরে নাকি ফাইনাল খেলা হবে। আমরাও ফাইনাল খেলার জন্য বসে আছি। কিন্তু ফাইনাল খেলার আগে বিএনপি দেখতে পাবে তাদের টিমে ১১জন নেই। আগামী কয়েক সপ্তাহে দেখতে পাবেন বিএনপির খেলোয়াড়রা টিম ছেড়ে অন্যদলে পালিয়ে গেছে। যে পথে তাদের নেতা শমসের মবিন ও তৈমুর আলম খন্দকার গেছেন, সেভাবে আরও অনেকেই পালানোর তালিকায় আছেন।’
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই বিএনপি ক’দিন গণমিছিল, ক’দিন অবস্থান, আবার ক’দিন হাঁটা, ক’দিন দৌড় কর্মসূচি, ক’দিন বসা কর্মসূচি দেয়। এখন বিএনপির বাকি আছে হামাগুড়ি কর্মসূচি দেওয়া। কর্মসূচি দিয়ে দিয়ে বলেন, সরকারের পতন ঘটাবে। সরকারের পতন ঘটাতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে বিএনপি থেকেই সবাই পালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের ওপর বিএনপির কোনো ভরসা নেই। ধীরে ধীরে তাদের সমাবেশ ছোট হয়ে আসছে। এজন্য ঘনঘন বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে, তাতে বলা হয়েছে যারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিপক্ষ হবে তারাই এই ভিসানীতির মধ্যে আসবে। এখন নির্বাচনে বাধা দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে বিএনপি। বিএনপি বলছে নির্বাচন প্রতিহত করবে। তাহলে কারা এই ভিসানীতির আওতায় আসবে?’
যুবলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাঙ্গুনিয়ায় গর্তের মধ্যে ঢুকে আছে। গর্তের ভেতর থেক মাথা তুলে মাঝে মাঝে উঁকি দেয়। গর্ত থেকে যাতে বের হতে না পারে, সেজন্য যুবলীগকে সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। তারা করোনায় ছিল না, কোনো দুর্যোগ-দূর্বিপাকে কারও পাশে দাঁড়ায়নি। ভোটের সময় ভাঁজওয়ালা পাঞ্জাবি পড়ে মাঠে নামবে শীতের পাখির মতো। গতবার ধানের শীষ বর্গা দিয়েছিল বলে রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির মহিলা নেত্রীরা ঝাড়ু মিছিল করেছিল। এবার কাকে দেয়, সেটিই দেখার বিষয়।’
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুচের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন- যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, উত্তর জেলার সভাপতি এস এম রাশেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম