‘চলতি সপ্তাহে দেশে আসবে ডিমের প্রথম চালান’
১৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৩৫
ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু বলেছেন, ডিম আমদানির জন্য ১৫ প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি প্রতিষ্ঠান এলসি খুলেছে। আশা করা হচ্ছে চলতি সপ্তাহে ডিম আমদানির প্রথম চালান দেশে প্রবেশ করবে।
রোববার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডি লেকের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে টিসিবির এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে চালসহ টিসিবির পণ্য সাশ্রয় মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এ সময় টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবলা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি হলো রফতানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ামুক্ত মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে। দেশে এর আগে ডিম আমদানি না হওয়ায় এই সনদ পেতে আমদানিকারকদের কিছুটা সময় লাগায় ডিম আসতে দেরি হচ্ছে।’
আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা দেশে এখনও আলু আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি। দেশে আলুর পর্যাপ্ত মজুত আছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। বাজার মনিটরিং চলছে। যদি দাম আরও ঊর্ধ্বগতির দিকে যায় তাহলে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে আলু আমদানির উদ্যোগ নেবে সরকার।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকার টিসিবির মাধ্যমে দেশের এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় করছে। তেল, চিনি, ডালের পাশাপাশি জুলাই থেকে চাল দেওয়া শুরু হয়। এ মাস থেকে পেঁয়াজ দেওয়া শুরু হলো। যা রাজধানীর মধ্যে আপাতত সীমাবদ্ধ থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা গরিব-দুখী, অসহায় মানুষ যারা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে তাদের কথা বিবেচনা করে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড অর্থাৎ পাঁচ কোটি মানুষকে কম মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আমরা জানি বৈশ্বিক কারণে বেশ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রাখতে। কিন্তু আমদানি পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়। যার জন্য চাইলেও কমানো সম্ভব হয় না।’
সারাবাংলা/জিএস/ইআ