ঢাকা: রাজধানীর ইস্কাটনে গত মধ্যরাতে বেপরোয়া ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে প্রাণ হারানো দুজন ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের নেতা। মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ও গণসংহতি আন্দোলনের জাতীয় পরিষদের সদস্য আরিফুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক, সংগীত শিল্পী ও কম্পোজার সৌভিক করিম।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে মধ্যরাতে ইস্কাটনের ইস্টার্ন টাওয়ারের সামনে দুর্ঘটনাস্থলেই তারা প্রাণ হারান। পরে তাদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে নেওয়া হয়।
ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ জানান, বুধবার (৮ নভেম্বর) জোহরের নামাজের পর ইস্কাটন গার্ডেন জামে মসজিদে আরিফ ও সৌভিকের জানাজা হবে। এরপর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে কিছু সময় ইস্কাটনের বাসায় মরদেহ দুটি রাখা হবে।
আরও পড়ুন: ইস্কাটনে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল বাইক আরোহী ২ তরুণের
নিহত আরিফুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ে। স্ত্রী সংগীতশিল্পী রেবেকা নীলা ও এক সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় নিউ ইস্কাটনে থাকতেন। প্রকাশনা সংস্থা ইউপিএলে কাজ করতেন তিনি।
ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সাবেক নেতা সৌভিকের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে। থাকতেন রাজধানীর মগবাজারে। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্য্যালয়ে শিক্ষক ছিলেন তিনি।
আরিফুল ইসলাম ও সৌভিক করিমের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। এ ছাড়া ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটি, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি, সমগীতসহ নানা সংগঠনও তাদের অকালপ্রয়াণে শোক জানিয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতের ওই দুর্ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, বাংলামোটর থেকে মগবাজারে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে চাপা দেয় দ্রুতগতিতে চলতে থাকা একটি ট্রাক। এ সময় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন আরিফুল ও সৌভিক। ট্রাকটি দ্রুত মগবাজারের দিকে পালিয়ে যায়।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা গেছে, মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়েই ট্রাকটি পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনাস্থলের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি ক্যামেরা) ফুটেজ থেকে ট্রাকটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।