Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফখরুলকে আর ছাড় দিতে চান না ছাত্তার, বিএনপির শাহীন মাঠে

কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৯ নভেম্বর ২০২৩ ২২:১৬

ময়মনসিংহ: আওয়ামী রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ভাষাসৈনিক রফিক উদ্দিন ভুইয়া, পাঁচ বারের এমপি এম শামসুল হক (একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাসৈনিক), সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান (একুশে পদকপ্রাপ্ত) এবং সাবেক ফার্স্টলেডি বেগম রওশন এরশাদ’র জন্মভূমি ও রাজনীতির চারণক্ষেত্র ময়মনসিংহ। এই সকল রাজনীতিক কালে কালে বাংলাদেশ ও বাঙালির ইতিহাসকে উচ্চকিত করে গেছেন। এই অঞ্চলের রাজনীতি আবর্তিত হতো উল্লিখিত সব নেতাদের ঘিরে। মূলত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হতো তাদের জনপ্রিয়তা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেই নির্বাচন এখন কড়া নাড়ছে।

বিজ্ঞাপন

আর মাত্র কয়েক মাস পরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতোমধ্যেই নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। যদিও রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি সরাসরি নির্বাচন ইস্যুতে কথা বলছে না। তাদের দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। সেই দাবিতে তারা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আন্দোলনের পাশাপাশি তারা নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে সারাদেশে বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় থেমে নেই সবচেয়ে বেশি সংসদীয় আসনের জেলা ময়মনসিংহের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। মিছিল-মিটিং, উঠান বৈঠকসহ নিজেকে যোগ্য প্রমাণে উঠে-পড়ে লেগেছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহের ১১টি আসনে আওয়মী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদসহ অন্যান্য দলের প্রায় পৌনে দুই’শ মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে রয়েছেন। ময়মনসিংহকে বলা হয়ে থাকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। স্বাধীনতার পর থেকে এখানকার বেশিরভাগ সংসদীয় আসন আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করেছে। এর পরের অবস্থানে রয়েছে বিএনপি এবং তার পর জাতীয় পার্টি। কয়েকবছর ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে রয়েছে জাতীয় পার্টি। সেজন্য তাদের দুয়েকটি আসন ছেড়ে দিতে হয়। এবারও জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট বাঁধলে অন্তত দু’টি আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে নয়টি আসনে জয়ের জন্য আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের মাঠে নামতে হবে। আর রাজপথের প্রধান বিরোধীদল নির্বাচনে এলে ভোটের হিসাব-নিকাশ কিছুটা হলেও পাল্টে যাবে। কারণ, তারাও কয়েকটি আসন পুনরুদ্ধারে ভোটের মাঠে নামবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনভিত্তিক পরিক্রমায় এবার সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে সারাবাংলার আয়োজনে থাকছে ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনের চিত্র।

ঈশ্বরগঞ্জের একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে ময়মনসিংহ-৮ আসন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের নির্বাচনগুলোতে চার বার জাতীয় পার্টি এবং তিন বার করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীরা বিজয়ী হন। নির্বাচনের ইতিহাসে ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ১৬২ আসনের মধ্যে মাত্র দু’টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরাজিত হন। তার একটি হচ্ছে ময়মনসিংহ-৮ ঈশ্বরগঞ্জ আসন। এই আসনে এমপি নির্বাচিত হন মুসলিম লীগের নুরুল আমিন। ১৯৭৩ সালে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল কাদির, ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে বিএনপির শামসুল হুদা চৌধুরী, ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির হাশিম উদ্দিন আহমেদ, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, ১৯৯১ সালে বিএনপি’র খুররম খান চৌধুরী, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের আব্দুস ছাত্তার, ২০০১ সালে বিএনপি’র শাহ নুরুল কবীর শাহীন, ২০০৮ সালে ফের আওয়ামী লীগের আব্দুস ছাত্তার এই আসনের এমপি নির্বাচিত হন। গত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে নির্বাচিত হন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম।

আরও পড়ুন:

আ.লীগে খালিদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী, বিএনপিতে এগিয়ে জাকির

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে বেশ টানাপোড়েন চলছে। বর্তমানে এই আসনের এমপি মহাজোটে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম। তিনি প্রত্যাশিত উন্নয়নে দেখাতে না পারায় ক্ষুব্ধ শরিক আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় এলাকাবাসী। এ কারণে আওয়ামী লীগ আগামীতে এই আসনটি নিজেদের কব্জায় নিতে চায়। অন্যদিকে, বিএনপি একদফার আন্দোলনে থাকলেও মনোনয়ন নিয়ে তাদের ভেতরেও রয়েছে কোন্দল ও গ্রুপিং।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মনে করেন, নিজেদের দলের এমপি না থাকার কারণে উন্নয়ন বঞ্চনার পাশাপাশি দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে জোটগত সিদ্ধান্তে গত দুই বারের মতো এবারও আসনটি ছেড়ে দেওয়া লাগতে পারে। জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী বর্তমান এমপি ফখরুল ইমাম। তারপরও আগামী নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ থেকে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রতিযোগিতা রয়েছেন। বিএনপি থেকেও নবীন-প্রবীণসহ রয়েছেন একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী।

প্রার্থী বাছাইয়ে সঠিক সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে জয়-পরাজয়। এ ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ফখরুল ইমামকে জোট থেকে প্রার্থী করা হলে ফল ভালো নাও হতে পারে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, ফখরুল ইমাম এলাকায় থাকেন না। উন্নয়নেও তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেননি। আগামীতে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে ঈশ্বরগঞ্জ আওয়ামী লীগ আর কখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। আর তাই আগামী নির্বাচনে এই আসনটিতে আর ছাড় দিতে চায় না আওয়ামী লীগ।

অপরদিকে, বিএনপি এক দফার আন্দোলনে থাকলেও এলাকায় ব্যানার-পোস্টারে রয়েছে তাদের প্রত্যাশার জানান। যদিও এমপি হিসেবে না দেখতে চাইলেও তাদের অভিব্যক্তি বুঝতে বাকি নেই কারোর। আন্দোলনের ডাক, জাতীয়-স্থানীয় নেতার মুক্তি ও প্রত্যাশার পাশাপাশি নিজেদের নামটিও সজোড়ে প্রকাশ করছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তবে এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন সাবেক এমপি শাহ নুরুল কবীর শাহীন, উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ব্যবসায়ী প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহহেল মাজেদ বাবু ও সাবেক ছাত্র নেতা কামরুজ্জামান লিটন।

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন- দুই বারের সাবেক এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস ছাত্তার, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমন, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ সদস্য ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালক অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য আবুবকর সিদ্দিক দুলাল ভুইয়া, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৌমেন্দ্র কিশোর চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম।

তবে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হিসেব ফখরুল ইমামের মনোনয়ন বলতে গেলে নিশ্চিত। ভদ্র ও পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে পরিচিতি থাকলেও এলাকায় কম আসায় এলাকাবাসীর মধ্যে রয়েছে নানা অসন্তোষ। জাপার জিএম কাদেরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় দূরত্ব তৈরি হয়েছে জাতীয় পার্টির প্রধান উপদেষ্টা রওশন এরশাদের সঙ্গে। অথচ একসময় রওশন এরশাদের আস্থাভাজন হিসেবেই তিনি এই আসনে মনোনয়ন পেয়ে এমপি হন। এলাকার উন্নয়ন নিয়ে ফকরুল ইমাম সারাবাংলা বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে এমপিদের বরাদ্দের ২০ কোটি টাকা এবং জিওবি তহবিল থেকে পাওয়া ২০ কোটি টাকাসহ মোট ৪৯০ কোটি টাকা উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভাগীয় উন্নয়ন তহবিল থেকে ৯২ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। স্পেশাল ইকোনোমিক জোন হচ্ছে ঈশ্বরগঞ্জে। খুব শিগগিরেই এর কাজ শুরু হবে। এলাকার সড়ক ব্যবস্থা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভৌত অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন। কাজেই আমি জাপার প্রার্থী হিসেবে মানুষের আস্থার জায়গায় থাকব বলে প্রত্যাশা।’

এদিকে, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদকে হারিয়ে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের আব্দুস ছাত্তার। নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার দৃশ্যমান ব্যাপক উন্নয়ন করার পরও দলীয় কোন্দলে ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আব্দুস ছাত্তার ফের এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে আব্দুস ছাত্তারের মনোনয়ন নিশ্চিত থাকলেও শেষ পর্যন্ত জোটের সিদ্ধান্তে জাতীয় পার্টিকে আসন দিয়ে দিতে হয়। নির্বাচনের পর আব্দুস ছাত্তারকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক করা হয়।

সাবেক এমপি আব্দুস ছাত্তার সারাবাংলাকে বলেন, ‘এই আসনে আমার কোনো বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমি দু’বার এমপি নির্বাচিত হয়েছি। এমপি থাকাকালে ঈশ্বরগঞ্জে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। স্বাধীনতার পর যা হয়নি, আমার মেয়াদে তা হয়েছে। এলাকাবাসী এই উন্নয়নের কথা এখনো মনে রেখেছে। মূলধারার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সবাই আমার সঙ্গে আছে। এলাকার সঙ্গে আমার সবসময় নিবিড় ও আত্মিক যোগাযোগ রয়েছে। সারাবছর বিপদে-আপদে আমি এলাকাবাসীর পাশে থাকি। ক্ষতিগ্রস্ত আওয়ামীলীগকে টেনে তুলে ঈশ্বরগঞ্জের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দল আমাকেই মনোনয়ন দেবে বলে বিশ্বাস।’

এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে সাবেক এমপি শাহ নুরুল কবীর শাহীন-ই এগিয়ে রয়েছেন। তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন। আর ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ঢাকা কেন্দ্রিক হয়ে পড়েন। এলাকায় আসতেন খুব কম। এক সময় দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আবার ফিরে যেতেন ঢাকায়। তবে এখন তিনি এলাকায় নিয়মিত হয়েছেন। বিএনপির সাবেক এই এমপি সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপি এক দফার আন্দোলন করছে। দাবি পূরণ হলে দল আমাকেই মনোনয়ন বলে বিশ্বাস। এলাকার মানুষ আমার ওপর আস্থা রাখে। বড় দল, নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা আছে, থাকবেই। তবে দলে কোনো কোন্দল ও গ্রুপিং নেই। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ বিএনপি এখন অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী। মনোনয়ন পেলে দলের সব নেতাকর্মীই আমার সঙ্গেই থাকবেন।’

এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশায় এলাকার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে বছরজুড়েই সরব থাকছেন নতুন প্রজন্মের তরুণ নেতৃত্ব উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহ হেল মাজেদ বাবু। নতুন ও তরুণ প্রজন্মসহ অবহেলিত নেতাকর্মী ও সমর্থকরা যোগ দিয়ে সমর্থন জানাচ্ছেন মাজেদ বাবুকে। দলের প্রতিটি কর্মসূচি সফল করতে সক্রিয় মাজেদ বাবু সমর্থকরা। ব্যবসায়ী এই নেতা ঢাকায় থাকলেও ব্যবসার বাইরে পুরো সময় দিচ্ছেন দলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে।

উল্লেখ্য, এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯৬৩। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮২ হাজার ৪১৯ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৪১ জন। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ১ লাখ ২১ হাজার ৩৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের আব্দুস ছাত্তার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির শাহ নুরুল কবীর। তিনি পান ৫৭ হাজার ৪১ ভোট। এর পর ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন। ফখরুল ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেন। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬৯ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিটকতম গণফোরামের এ এইচ এম খালেকুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পান ৩৪ হাজার ৬৩ ভোট।

সারাবাংলা/কেএমএম/পিটিএম

আওয়ামী লীগ আবুবকর সিদ্দিক দুলাল ভুইয়া আব্দুস সাত্তার জাতীয় পার্টি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নুরুল কবীর শাহীন ফখরুল ইমাম ময়মনসিংহ-৮ মাহমুদ হাসান সুমন শাহ মঞ্জুরুল হক শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সৌমেন্দ্র কিশোর চৌধুরী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর