সাম্প্রদায়িকতা ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে গেছে— গোলটেবিলে বক্তারা
১৪ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৫২
ঢাকা: সাম্প্রদায়িকতা আছে বলেই সম্প্রীতির প্রয়োজন। সময়ের আবর্তে ক্ষয়ে গেছে বিশুদ্ধ সংস্কৃতি। বদল হয়েছে পাঠ্যবই। রাজাকারও মন্ত্রী হয়েছে এদেশে। সুতরাং অল্পদিনে অনেক পরিবর্তনের কারণে র্যাডিকালিজম চাড়া দিয়েছে। সবমিলে একটা অস্থির সময় পার করছে এদেশের জনগণ। মনের মধ্যে রাগ ক্ষোভ পুষে না রেখে তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা গঠনে সব মানুষের জোটবদ্ধ হওয়া জরুরি।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্প্রীতি বাংলাদেশের গোলটেবিল বৈঠকে বক্তরা এসব বলেন। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।
অনুযোগের সুরে তিনি বলেন, ‘মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে শহিদদের তালিকা নিয়ে এখনও প্রশ্ন করে কেউ কেউ। কারণ, এদেশে রাজাকারদের মতো আত্মস্বীকৃত খুনিরা মন্ত্রী হয়েছে। তাদের দোসরেরা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে আসীন হয়েছেন। অথচ মুক্তিযুদ্ধের মূল্যায়ন যদি হয় রক্তের দামে, তাহলে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি দামে পৃথিবীর অন্য কোনো জাতি স্বাধীনতা কেনে নাই।’
বক্তব্যের বিভিন্ন পর্যায়ে মুহম্মদ জাফর ইকবাল তার কর্মময় জীবনের বিভিন্ন স্তরে কীভাবে সাম্প্রদায়িকতা দেখেছেন তার বর্ণনা করেন। একইভাবে শিশু কিশোরদের মধ্যে মুক্তবুদ্ধি তথা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বীজ কিভাবে প্রোত্থিত হতে পারে তারও সরল সমাধান দেন।
নাট্যজন, আবৃত্তিকার ও অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক পূজা উদযাপন কমিটি সাধারণ সম্পাদক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা, একাত্তর টেলিভিশনের নূর সাফা জুলহাস, চিকিৎসক নেতা ও সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন পরিচালক ডা. উত্তম বড়ুয়া, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার ফারজানা মাহমুদ, সময় টেলিভিশনের সম্পাদক মোস্তফা হোসেইন, সম্প্রীতি বংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেত্রী জয়ম্রী ব্যানার্জি, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না, একুশে টেলিভিশনের ভারপ্রাপ্ত অনুষ্ঠান প্রধান সাইফ আহমেদ প্রমুখ।
সারাবাংলা/পিটিএম