ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা দুই দিনের হরতালের প্রথম দিন রাতে রাজধানী ঢাকার ওয়ারী ও পল্টন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ওয়ারী এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন মাকসুদা বেগম (৫৫), পল্টনে রিয়াদুল রশিদ (৪০)। তারা মূলত পথচারী ছিলেন।
রোববার (১৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে ওয়ারী থানার সামনে ও রাত সাড়ে ৯টার দিকে আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের সামনে বিস্ফোরণ দুটি ঘটে। দুই ঘটনায় আহত দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত রিয়াদুল নিজেই জানান, তিনি পল্টন থানা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সদস্য। আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের পাশে সোনালী ব্যাংক সামনে মূল সড়কের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটলে তার হাতে ও পায়ে তার স্প্লিন্টারের আঘাত লাগে। পরিচিতরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহত মাকসুদা ও তার স্বামী আবুল বাশার জানান, তারা গেন্ডারিয়া রাইফেল ক্লাবের পাশে একটি বাসায় থাকেন। সন্ধ্যায় তারা খবর পান, তাদের ছেলে মাহবুবকে (১৮) পুলিশ আটক করেছে। শুনেই তারা ওয়ারী থানার সামনে ছুটে যান। সেখানে দেখতে পান, থানার সামনের রাস্তায় তাদের ছেলে মাহবুবকে দাঁড় করিয়ে রেখেছে পুলিশ।
মাকসুদা জানান, থানার সামনে পুলিষের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় মাকসুদার হাতে স্প্লিন্টার আঘাত করে। ওই অবস্থায় তাকে প্রথমে সালাউদ্দিন হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর ঢাকা মেডিকেলে যান চিকিৎসা নিতে। একই ঘটনায় তাদের ছেলে মাহবুবও আহত হন বলে জানিয়েছেন তারা। বলেন, মাহবুব পুলিশ হেফাজতে আছেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) মো. মাসুদ মিয়া জানান, ওয়ারী ও পল্টন এলাকা থেকে আহত হয়ে দুজন হাসপাতালে এসেছিলের চিকিৎসা নিতে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তজিরুর রহমান জানান, রাত ৮টার দিকে ওয়ারী থানার সামনে দুটি পটকা ফোটানোর ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কারও আহত হওয়ার তথ্য তার জানা নেই।