ভোলায় বসতঘরে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত ১
২১ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৩৮
ভোলা: ভোলার লালমোহন উপজেলায় এক বসতবাড়িতে গভীর রাতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরেকজন। ওই বাড়িতে ককটেল বোমা তৈরির কাজ ছিল বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণ হয়েছে নাকি কেউ ককটেল নিক্ষেপ করেছে, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকার আজহার মাঝির বাড়িতে এ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আজহারুলের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম জয় ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
ককটেল বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তির নাম মো. মনির বয়াতি (৪৫)। আহত হয়েছেন ফিরোজ মাঝি (৩৫)। নিহত মনির বয়াতি উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তালেব আলীর ছেলে। আহত ফিরোজ একই এলাকার অজিউল্যাহ মাঝির ছেলে। ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সালাউদ্দিন জানান, মনির বয়াতি আগে থেকেই বোমার কারিগর হিসেবে পরিচিত।
আজহার মাঝি জানান, রাতের খাবার খেয়ে পরিবারের সদস্যরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। মধ্যরাতে বিকট শব্দে তাদের ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠে দেখেন, পুরো ঘর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। ককটেল বিস্ফোরণে বসতঘরের টিনের চালা ও বেড়া উড়ে গিয়ে বসতঘরটি তছনছ হয়ে গেছে।
আজহার মাঝি আরও জানান, ওই সময় মনির ও ফিরোজকে রক্তাক্ত অবস্থায় কাঁতরাতে দেখেন তারা। তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে তাদের পাঠানো হয় বরিশালে। পথেই ভেদুরিয়া ঘাটে মনির বয়াতির মৃত্যু হয়। ফিরোজের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব-উল আলম জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
সারাবাংলা/টিআর