ভোটকেন্দ্রের তালিকা চাইলো ইসি
২২ নভেম্বর ২০২৩ ১২:২৩
ঢাকা: আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ কর্মকর্তাদের কাছে ভোটকেন্দ্রের তালিকা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেশের সব জেলার রিটার্নিং অফিসার বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নীতিমালা অনুযায়ী, গত ১৬ আগস্ট খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হয়। দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি করে ১৭ সেপ্টেম্বর ভোটকেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং অফিসাররা ১৭ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত করা সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রসমূহ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুসারে সরে জমিনে যাচাই-বাছাই করতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রসমূহ উল্লিখিত নীতিমালা অনুসরণে কোনো পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা সংশোধনের প্রয়োজন হলে তা সম্পন্ন করে ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করবেন। সংশোধিত চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা সংযুক্ত ছক অনুযায়ী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ২ প্রস্থ হার্ডকপি (নিকস ফ্রন্ট-এ ওয়ার্ড ফাইল সিডিসহ) বাহক মারফত প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
এছাড়া, প্রস্তাবিত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রেরণের সময় সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কর্তৃক নিম্নলিখিত বিষয়াদি ভালভাবে যাচাই করে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। সেগুলো হলো-
- নির্বাচনী এলাকার নাম ও নম্বর ঠিক আছে কি না?
- উপজেলা/থানার নাম সঠিক আছে কি না?
- ভোটকেন্দ্রের নম্বর, সিরিয়াল নং ঠিক আছে কি না?
- ভোটারের সংখ্যা সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ আছে কি না?
- যোগফল ঠিক আছে কি না?
- পুরুষ কক্ষের জন্য ৫০০ এবং মহিলা কক্ষের জন্য ৪০০ জন হিসাবে ভোট কক্ষের প্রস্তাব করা হয়েছে কি না?
- অস্থায়ী কেন্দ্র ও অস্থায়ী কক্ষের বিষয়ে ব্যাখ্যা আছে কি না ও অস্থায়ী কক্ষের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঘরে অস্থায়ী লিখিত আছে কি না? এবং
- ভোটারের সংখ্যার সঙ্গে ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা নীতিমালা অনুযায়ী আছে কি না।
উল্লেখ্য, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে গত ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর,। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থীতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং প্রচারণা চালানো যাবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
সারাবাংলা/জিএস/ইআ