রফতানিতে ধীর গতি, সামগ্রিক আয়ে প্রবৃদ্ধি
৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:০২
ঢাকা: অক্টোবরের পর নভেম্বরেও দেশের রফতানি আয় কমেছে। মাসটিতে গত বছরের তুলনায় রফতানি কমেছে ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কমেছে ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। তবে গতি কম থাকলেও সামগ্রিক রফতানি আয়ে এখনও প্রবৃদ্ধি রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে এখন পর্যন্ত রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি রয়েছে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির তথ্য মতে, নভেম্বর মাসে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার। মাসটিতে রফতানি হয়েছে ৪৭৮ কোটি ডলারের পণ্য। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে রফতানি হয়েছিল ৫০৯ কোটি ডলার। অর্থাৎ নভেম্বর মাসে আগের বছরের চেয়ে রফতানি কমেছে ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কম হয়েছে ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
এদিকে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রফতানি হয়েছে ২ হাজার ২২৩ কোটি ২২ লাখ ডলারের পণ্য। এই আয়ের আগের অর্থবছরের চেয়ে মাত্র ১ দশমিক ৩০ শতাংশ বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের এই রফতানি হয়েছিল ২ হাজার ১৯৪ কোটি ৬০ লাখ ডলারের। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রফতানি আয় কম হয়েছে ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, গত ২০২২–২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছিল। চলতি অর্থবছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলার। ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তৈরি পোশাক ছাড়া অধিকাংশ পণ্যের রফতানি কমে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে হিমায়িত খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্রকৌশল পণ্য ইত্যাদি।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে ১ হাজার ৮৮৪ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। এই রফতানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। এই সময়ে তৈরি পোশাকের মধ্যে নিট পোশাকের রফতানি ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। তবে ওভেন পোশাকের রফতানি কমেছে সাড়ে ৪ শতাংশ।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি মাত্র ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। তবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কমেছে ৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ। পোশাকের মধ্যে নিটওয়্যারে রফতানি বেড়েছে ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ ও ওভেনে রফতানি কমেছে ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ।
এছাড়া হিয়ামিত মাছের রফতানি কমেছে ১৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, কৃষিপণ্যের দশমিক ৮৬ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ২০ দশমিক ৫৫ শতাংশ, পাট ও পাটজাত পণ্যে ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ, হোম টেক্সটাইলে ৪২ শতাংশ। একই সময়ে রফতানি বেড়েছে মাত্র কয়েকটি পণ্যের। এর মধ্যে প্লাাস্টিক পণ্যের রফতানি বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম