Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকার ১৩ আসনে ‘নির্ভার’ আ.লীগ, ৭টিতে নৌকা-লাঙ্গলে স্বতন্ত্র-বাধা

নৃপেন রায়, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:১১

ঢাকা: ঘনিয়ে আসছে ৭ জানুয়ারি। নির্বাচনি প্রচারের ডামাডোল ছড়িয়েছে সারাদেশেই। বিশেষ করে সবার নজরে রয়েছে রাজধানী ঢাকার ২০টি আসন। স্থানীয় রাজনীতির নানা সমীকরণ বিবেচনায় নিয়ে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যাচ্ছে, ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৩টি নিয়েই বেশ ‘নির্ভার’ ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও তাদের অনুসারীরা। এই আসনগুলোতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের জয় সময়ের ব্যাপার বলেই মনে করছেন তারা সবাই।

বাকি সাতটি আসনে আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে নৌকার প্রার্থীদের। একটি আসন আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিয়েছে জাতীয় পার্টিকে (জাপা)। সেই আসনেও জাপা প্রার্থীর সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এই সাতটি আসনে জমজমাট ভোটযুদ্ধের আভাসই মিলেছে।

ভোটযুদ্ধের আভাস যেসব আসনে

ঢাকা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ব্যবসায়ী এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা সালমান এফ রহমান। এই আসনে জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন। তৃণমূল বিএনপির মুফিদ খান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির শামসুজ্জামান চৌধুরী, গণফণ্টের শেখ মো. আলী, ওয়ার্কার্স পার্টির মো. করম আলী এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আ. হাকিম এই আসনে প্রার্থী হয়েছেন।

২০০১ সালে এই আসনে নৌকার প্রার্থী হয়ে প্রথমবার লড়েন সালমান এফ রহমান। তিনি সেবার হেরে যান বিএনপির প্রার্থী নাজমুল হুদার কাছে। ২০০৮ সালে নৌকার মনোনয়ন পান আবদুল মান্নান খান। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ছাড়ে সংসদ সদস্য হন সালমা ইসলাম। তবে ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে ফের নৌকার মনোনয়ন পেয়ে জিতে আসেন সালমান। আসন সমঝোতায় এই আসনটিতে নজর ছিল জাতীয় পার্টির। তবে আওয়ামী লীগ ছাড় না দিলে সালমা ইসলামও প্রার্থিতা ছাড়েননি।

স্থানীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ভোট বর্জন করলেও এই আসনে ভিন্ন আমেজ বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলতে চাইছে না। আরও পাঁচজন প্রার্থী থাকলেও এই আসনে নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে মূল ভোটযুদ্ধ হবে লাঙ্গল প্রার্থীর সঙ্গে।

ঢাকা-৪ আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সানজিদা খানম। পরের দুই নির্বাচনেই আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয় জাতীয় পার্টিকে। আবু হোসেন বাবলা দুই মেয়াদেই এমপি নির্বাচিত হন। এবারে আর আসন সমঝোতায় যায়নি আওয়ামী লীগ। ফের প্রার্থী করা হয়েছে সানজিদাকে। তবে আবু হোসেন বাবলাও লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন। এ ছাড়াও রয়েছেন আরও সাতজন প্রার্থী। তবে তাদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেন, যিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব ছিলেন।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, ভোটের সমীকরণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একাংশ স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেনের পক্ষেও কাজ করছেন। অন্যদিকে বর্তমান এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার পক্ষেও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের কিছু নেতাকর্মীর গোপন সমর্থন রয়েছে। ফলে সানজিদা, বাবলা ও আওলাদের মধ্যে ভোটের লড়াই তুঙ্গে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঢাকা-৫ আসনে ভোটের মাঠে দ্বিমুখী লড়াইয়ের প্রত্যাশা করছেন স্থানীয়রা। এই আসনে মোট প্রার্থী ১২ জন। আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে হারুনর রশীদ মুন্নাকে। তবে ২০০৮ থেকে টানা তিনবার এই আসনে নৌকা নিয়ে এমপি হয়েছিলেন প্রয়াত হাবিবুর রহমান। তার ছেলে মশিউর রহমান মোল্লা সজল দলীয় প্রার্থিতা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। ট্রাক প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন তিনি। এ ছাড়া আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. কামরুল হাসান ঈগল প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে সক্রিয়। স্থানীয়রা অবশ্য নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন প্রয়াত হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে মশিউর মোল্লাকেই।

মশিউর রহমান মোল্লা সজল সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভোটাররা ইচ্ছামতো ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। তাই তাদের মধ্যে ভালো সাড়া দেখতে পাচ্ছি। আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা স্বতন্ত্রদের জন্য এবারের ভোট উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। তাই ভোটারসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উৎফুল্ল। শুধু ভোটের দিন সুষ্ঠুভাবে ভোট দেওয়ার নিশ্চয়তা চান। এ ব্যাপারে আমরাও সব মহল থেকে নিশ্চয়তা পেয়েছি। আশা করছি আমার এলাকার ভোটারদের দোয়া ও জনসমর্থন আমার পক্ষেই থাকবে।’

ঢাকা-১৪ আসনেও নৌকা জয়ের বড় বাধা স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই। এই আসনে মোট প্রার্থী ১৪ জন। আওয়ামী লীগ থেকে প্রথমবার মনোনয়ন পেয়েছেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। তার বিপক্ষে সাতজন দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি রয়েছেন ছয় ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থী! তাদের মধ্যে অন্তত তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নিখিলের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হচ্ছে। প্রথমবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া নিখিলের পক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগও পুরোপুরি নেই। বরং তার প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকেই সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।

এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে কাজী ফরিদুল হক হ্যাপী প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে। ফলে ভোটের প্রচারেও অন্যদের থেকে পিছিয়ে রয়েছেন সাবেক এই ছাত্রনেতা। কিন্তু ভোটের মাঠে তাকেই সবচেয়ে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী মনে করছেন স্থানীয়রা।

আরেক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী মো. লুৎফর রহমান (সিআইপি) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেটলি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করছেন। তিনিও স্থানীয় রাজনীতির হিসাব-নিকাশে নৌকার প্রার্থীর জয়ের পথে মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিনা আক্তার তুহিন ভোট করছেন ট্রাক প্রতীকে। বর্তমানে তিনি মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতা। দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। ঢাকা-১৪ আসনে ভোটের মাঠে এই তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীই নিখিলের পথের কাঁটা হয়ে উঠতে পারেন।

ঢাকার মধ্যে একমাত্র ঢাকা-১৮ আসনটিই জাতীয় পার্টিক ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আসনটিতে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের মনোনয়ন পেয়েছেন। আসনটিতে আরও ৯ জন প্রার্থী থাকলেও চার স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক খসরু চৌধুরীকে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হচ্ছে শেরীফা কাদেরের। এ ছাড়া মো. নাজিম উদ্দিন মোড়া প্রতীক ও মো. বশির উদ্দিন ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন এই আসনে। তারাও লাঙ্গলের প্রার্থী শেরিফা কাদেরের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারেন।

এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খসরু চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, নেত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থিতাকে এবার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। তিনি গণতান্ত্রিক ভোটের রাজনীতিতে নতুন এক নজির স্থাপন করেছেন। আমার নির্বাচনি ভোটারসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উৎফুল্ল হয়ে আছেন। এখানে আসন সমঝোতার কারণে মিত্র জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছে। তারপরও আমি দীর্ঘদিন ধরে একজন ব্যবসায়ী ও নেতা হিসেবে এই এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম। তাই ভোটারদের প্রতি আমার ভরসা আছে। তাদের দোয়া ও জনসমর্থন আমার পক্ষেই থাকবে বলে আশা করছি।

ঢাকা-১৯ আসনে ভোটের লড়াই হবে দ্বিমুখী। এখানে ১০ জন প্রার্থী থাকলেও নৌকার প্রার্থীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. এনামুর রহমান। তিনি দুইবারের সংসদ সদস্য, বর্তমান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। তবে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মোহাম্মদ তৌহিদ জং (মুরাদ) ২০০৮ সালে এই আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। সাবেক ও বর্তমান এমপির মধ্যে তাই সবাই কঠিন লড়াই প্রত্যাশা করছে। তবে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামও নৌকার ভোট কেটে লড়াই জমিয়ে তুলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

ঢাকা-২০ আসনে এবারও নৌকার প্রার্থী ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ। তিনি এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। ২০০৮ সালেও এমপি হয়েছিলেন। তবে ২০১৪ সালে এই আসনে আওয়ামী লীগের এমপি হয়েছিলেন ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক। এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। বর্তমান ও সাবেক এই দুই প্রার্থীর মুখোমুখি লড়াই জমজমাট হবে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। এ ছাড়া ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা মোহাদ্দেছ হোসেনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হওয়ায় জনসমর্থনে তার পাল্লাও কম ভারী নয় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তাই এই আসনে নৌকা ও স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর ত্রিমুখী ভোটযুদ্ধের আভাস থাকছে।

নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীদের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তারা সবাই আমাদের দলেরই নেতাকর্মী। তাদেরও প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে ভাবতে হবে। কোনো ধরনের পক্ষপাত বা বৈরী মনোভাব প্রদর্শন সমর্থনযোগ্য নয়। যারাই নির্বাচনবিরোধী সহিংসতা বা অপতৎপরতায় লিপ্ত হবে, তারা যারাই হোক, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নেবে, আমরা আগেই বলেছি, তাদের যুক্তিযুক্ত সব ব্যবস্থাই আমরা সমর্থন করব।

যেসব আসনে ‘নির্ভার’ নৌকার সমর্থকরা

ঢাকা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম। এই আসনে টানা তিন মেয়াদের সংসদ সদস্য তিনি। ঢাকা-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও এই আসনে টানা তিন মেয়াদে নৌকার সংসদ সদস্য। দুটি আসনেই তাদের দুজনের জয় সময়ের ব্যাপার বলে মনে করছেন কর্মী-সমর্থকরা।

ঢাকা-৬ আসনটি আগে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কাজী ফিরোজ রশিদ ছিলেন এমপি। এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনকে প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ। কাজী ফিরোজ রশীদ আর নির্বাচনই করছেন না। ফলে সাঈদ খোকনের নেতাকর্মীরাও নির্ভার রয়েছেন।

ঢাকা-৭ আসনে হাজী সেলিম ছিলেন আওয়ামী লীগের গত দুই মেয়াদের এমপি। এবার প্রার্থী হয়েছেন তার ছেলে সোলায়মান সেলিম। ঢাকা-৮ আসনটি গত তিন নির্বাচনেই জোট শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এবার দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে প্রথমবার এই আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। ঢাকা-৯ আসনে গত তিনবারের মতো এবারও নৌকার প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনটি আসনেই নৌকার প্রার্থীদের কোনো বিকল্পমুখ স্থানীয়রা দেখছেন না।

ঢাকা-১০ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী নেতা শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের বদলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে চিত্রনায়ক ফেরদৌসকে। ঢাকা-১১ আসনে বাদ পড়েছেন এ কে এম রহমতুল্লাহ, নৌকার প্রার্থী হয়েছেন ওয়াকিল উদ্দিন। ঢাকা-১২ আসনে আগের মতোই প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ঢাকা-১৩ আসনে সাদেক খানের জায়গায় নৌকার প্রার্থী করা হয়েছে একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানককে। এই চার আসনেও নৌকার প্রার্থীর শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী দেখছেন না কেউ।

এদিকে ঢাকা-১৫ আসনে নৌকার প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং ঢাকা-১৬ আসনে ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্ দুজনেই টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারবেন বলে মনে করেন না তাদের কর্মী-সমর্থকরা। ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে এই আসনে এ বছরই উপনির্বাচনে জিতে আসা মোহাম্মদ এ আরাফাতকে। এই আসনেও নৌকার প্রার্থীর জন্য বড় কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছেন না নেতাকর্মীরা।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

আওয়ামী লীগ জাতীয়-নির্বাচন ঢাকা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নৌকার প্রার্থী সংসদ নির্বাচন সংসদীয় আসন স্বতন্ত্র প্রার্থী


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর