ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য এখন পর্যন্ত ৩৫টি দেশ থেকে প্রায় ১৮০ জন আবেদন করেছেন। তবে পর্যবেক্ষকদের সংখ্যা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যাচাই-বাছাই শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেরী সাবরীন।
তিনি বলেন, ১৮০ ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে আরও ৩০ কর্মকর্তা নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে বাংলাদেশে আসবেন।
এখন পর্যন্ত কতজন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে সেহেরী সাবরীন বলেন, আগের ব্রিফিংয়ে ৯টি দেশ থেকে পর্যবেক্ষক আসার কথা বলেছিলাম। এখন আরও একটি যোগ হয়েছে, সেটা হচ্ছে গাম্বিয়া। অর্থাৎ ১০টি থেকে পর্যবেক্ষক আসবেন।
যেসব বিদেশি সাংবাদিক জাতীয় নির্বাচন কাভার করতে আবেদন করেছেন, ভিসার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত অনুমোদন পাননি। তারা কবে অনুমোদন পেতে পরেন, জানতে চাইলে সেহেরী সাবরীন বলেন, তারা নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। প্রক্রিয়া শেষ হলেই তাদের অ্যাক্রিডিটেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এরই মধ্যে কিছু সাংবাদিককে তাদের সংশ্লিষ্ট মিশনে আবেদন করতে মেইলের মাধ্যমে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান সেহেলী।
তিনি বলেন, এছাড়াও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একটি মিডিয়া সেল গঠন করেছে। তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ব্যবস্থাপনার জন্য নির্বাচন কমিশন কী পরিমাণ বরাদ্দ রেখেছে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। ইলেকশন অবজারভার ফ্যাসিলেটেশন সেল এ নিয়ে কাজ করছে।
পর্যবেক্ষকদের জন্য কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমরা তো বলেছি পর্যবেক্ষকরা যদি লোকাল হসপিটালিটি চায়, তবে তাদের সেটা আমরা দেব। আর যেটা হচ্ছে, তারা বাংলাদেশে অবস্থানের সময় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এসব কিছুই বাজেটের মধ্যে থাকবে। যে কারণে বাজেটের বিষয়টি এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
নির্বাচনের আগে বাজেট সম্পর্কে জানা যাবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকেও জানতে পারবেন। আমরা বিষয়টি ব্যবস্থাপনা করছি। তবে বাজেটটা দুই পক্ষের আলোচনার মাধ্যমেই হবে। যখন হবে, তখন জানিয়ে দেব।