হাইকোর্টে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন খারিজ
১০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৩৫
ঢাকা: প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনায় রমনা থানায় করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন দিতে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও সগির হোসেন লিওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আব্দুর রাফেল।
গত বছরের ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। এরপর গত ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে এক সপ্তাহের এ রুল জারি করেছিলেন।
রুলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
সেদিন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। এ সময় আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী, ফজলুর রহমান খান, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী কায়সার, গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও সগির হোসেন লিওন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিএম রাফেল।
পরে ১৪ ডিসেম্বর রুল শুনানির জন্য ১৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। আর ১৭ ডিসেম্বর রুল শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি দিন রেখেছিলেন।
গত ৩ জানুয়ারি মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানি পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে, ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের তার জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
গত ৩ ডিসেম্বর এই মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তার আগে ২২ নভেম্বর তার জামিন নামঞ্জুর করেন বিচারিক আদালত। এ ছাড়া গত ২ নভেম্বর একই আদালতে জামিন আবেদন দাখিল করেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বাসায় এসে সিসি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে যায়। তার ১০ মিনিট পর বাসায় গিয়ে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
ওইদিনই রাত ৮টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। অপরদিকে তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ