আমার দেখা এশিয়ার সেরা একাদশ
১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৫৬
১৮তম এশিয়ান কাপের আজ তৃতীয় দিন চলছে। এবারের টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে কাতার। বাংলাদেশের ‘টি-স্পোর্টস’ এই টুর্নামেন্টের খেলা সরাসরি দেখাচ্ছে। এশিয়ান কাপের খেলা আগে সরাসরি দেখার সুযোগ খুব একটা মিলতো না। যাইহোক, আমার দেখা এশিয়ার সেরা ১১ জন (৪-৪-২ ফর্মেশন) খেলোয়াড়দের নিয়ে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করলাম যাদেরকে মূলত বিশ্বকাপ বা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বেশি খেলতে দেখেছি।
গোলরক্ষক:
মোহাম্মাদ আল-দাইয়া (সৌদি আরব)
রক্ষণভাগ:
মেহেদী মাহদাভিকিয়া (ইরান)
হং মিউং-বো (দ.কোরিয়া)
কিম মিন-জায়ে (দ.কোরিয়া)
ইউতো নাগাতোমো (জাপান)
মধ্যমাঠ:
ওয়াতারু এন্দো (জাপান)
পার্ক জি সুং (দ.কোরিয়া)
হিদেতোশি নাকাতা (জাপান)
কেইসুকে হোন্ডা (জাপান)
স্ট্রাইকার:
সন হিউং-মিন (দ.কোরিয়া)
আলী দাই (ইরান)
আল-দাইয়া ৩৪ বছর বয়সে অবসর নিলেও তিনি সৌদি আরবের হয়ে ১৭৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন। ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার এই গোলরক্ষক ১৯৮৯ সালে ফিফার অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ জেতেন। ১৯৯৩ এর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তার দুর্দান্ত পারফরমেন্সের কারণে সৌদি আরব ১৯৯৪ সালে প্রথম বারের মত বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করে এবং দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে সক্ষম হয়। ১৯৯৬ সালে তিনি এশিয়ান কাপ জেতেন। এশিয়ার সেরা গোলরক্ষক হন দু’বার; ১৯৯৬ ও ২০০০ সালে। আর ১৯৯৯ সাল থেকে IFFHS কর্তৃক এশিয়ার ১০০ বছরের ইতিহাসে সেরা গোলরক্ষক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন।
রাইট উইং ব্যাক মাহদাভিকিয়া ১১০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১৩টি গোল করেন। তিনি ইরানিয়ান এবং জার্মান লিগে ৩৮৬টি ম্যাচে ৫৪ গোল করেছেন। তার মধ্যে জার্মানির ৩টি ক্লাবে খেলেছেন ২৫৫টি ম্যাচ এবং হ্যামবুর্গ ক্লাবে ২১১টি ম্যাচ খেলে ২৬টি গোলের সাথে ৫৫টি গোলে সহায়তা করেছেন। ২০০৩ এবং ২০০৪ সালে পরপর দুইবার জার্মান দর্শকদের দ্বারা ‘সেরা খেলোয়াড়’ নির্বাচিত হবার পাশাপাশি ২০০৩-০৪ সালে জার্মান বুন্দেসলিগায় ‘সবচেয়ে বেশি গোল সহায়তাকারী’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৪ এশিয়ান কাপেও তিনি ছিলেন সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট খেলোয়াড়। তিনি টানা ১২ বছর জার্মানির লিগে খেলেছেন। ক্রসিং, গতি এবং ড্রিবলিংয়ের জন্য পরিচিত মাহদাভিকিয়া ২০০৩ সালে এশিয়ার সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন। সবকিছুই ছাপিয়ে মাহদাভিকিয়া ফুটবল বিশ্বে দর্শকদের কাছে এক পরিচিত নাম, কারণ ১৯৯৮ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের ২-১ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচের জয় সূচক গোলদাতা ছিলেন। বর্তমানে তিনি হ্যামবুর্গ ক্লাবে যুবদলের কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
এশিয়ার দুর্বল জায়গার একটি হচ্ছে সেন্ট্রাল ডিফেন্স। এই পজিশনের হং মিউং-বো কখনো ইউরোপে না খেললেও তিনি এই একাদশে সুযোগ পেয়েছেন ২০০২ সালের বিশ্বকাপে তার পারফরমেন্সের দরুন। চারটি বিশ্বকাপ খেলা এই খেলোয়াড় এশিয়ার একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ২০০২ বিশ্বকাপে সেরা তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ‘ব্রোঞ্জ বল’ জিতেছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সেরা লিবেরো হিসেবে বিবেচিত হং নির্ভুল দূরপাল্লার পাসিংয়ের জন্য খ্যাত ছিলেন। তিনি ১৩৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১০টি গোল করেন। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক গেমসেও তিনি ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার ব্রোঞ্জ জয়ী দলের খেলোয়াড়।
বর্তমানে বায়ার্ন মিউনিখে খেলা ২৭ বছর বয়সী কিম মিন-জায়ে নিঃসন্দেহে ক্যারিয়ার শেষে এশিয়ার সর্বকালের অন্যতম সেরা স্টপার ব্যাক হবেন। ‘মনস্টার’ নামে খ্যাত দক্ষিণ কোরিয়ার কিমকে এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ডিফেন্ডারদের একজন বলে মনে করা হয়! ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার কিমের চমৎকার শারীরিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উচ্চতা, গতি, শক্তি, ট্যাকল করার পাশাপাশি তার রয়েছে ভালো পাস দেবার ক্ষমতা। আর এই কারণেই তিনি সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপেও নজর কেড়েছেন।
ইন্টার মিলানের হয়ে ১৭০টি ম্যাচ খেলা নাগাতোমো খেলবেন লেফট উইং বা ফুলব্যাক হিসেবে। টানা ১১ বছর ইউরোপে খেলা নাগাতোমো এখন পর্যন্ত ১৪২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন যা তাকে জাপানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়ে পরিণত করেছে। ২০১১ সালে তিনি এশিয়ান কাপ জেতেন। চারটি বিশ্বকাপের সাথে তিনি একবার অলিম্পিক গেমসেও খেলার সুযোগ পান।
হং মিউং-বো এবং কিম মিন-জায়েকে আমি এই দলে রেখেছি যেন এশিয়ার এই দলটি আক্রমণাত্মক খেলা বজায় রাখতে পারে। ফলশ্রুতিতে দলটিতে আমি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে নিয়েছি ওয়াতারু এন্দোকে, যিনি কিনা প্রয়োজনে ডিফেন্সেও খেলতে পারেন। লিভারপুলে খেলা এই খেলোয়াড় বর্তমান জাপান দলের অধিনায়ক। এছাড়াও তিনি জার্মান দল ভিএফবি স্টুটগার্টৈর অধিনায়কত্ব করেন ২০২২-২৩ সালে। বল কেড়ে নেয়ার ক্ষেত্রে তার সুনাম রয়েছে। জার্মানিতে খেলার সময়, তিনি সবচেয়ে বেশি ডুয়াল জিতেছেন এবং বল কেড়ে নেয়া ও ট্যাকলের জন্য দ্বিতীয় হন। প্রয়োজনের সময় তিনি বল যোগান দিতেও সক্ষম। আর এইসব কারণেই স্টুটগার্ট থেকে এই মৌসুমে লিভারপুলে যোগদান করে মৌসুমের প্রথমার্ধে লিভারপুলকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রাখতে পেরেছেন।
পার্ক জি সুং প্রথম এশিয়ান ফুটবলার যিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছেন। তিনি ক্যারিয়ারে জিতেছেন ১৯টি ট্রফি। ২০০২ বিশ্বকাপে চতুর্থ হওয়া দক্ষিণ কোরিয়া দলের সদস্য ছিলেন পার্ক, যেখানে তাদের কোচ ছিলেন নেদারল্যান্ডসের গুস হিডিংক। হিডিংকের হাত ধরে ২০০৩ সালে পিএসভি আইন্দহোভেনে আসার পর তাদের ২০০৪-০৫ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে খেলতে সাহায্য করেন। ওই মৌসুমে তিনি ছিলেন ক্লাবের মূল গোল সরবরাহকারী। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ১৩৪টি ম্যাচ খেলা পার্ক তার গতি, অফ-দ্য-বল মুভমেন্ট, পরিশ্রমী মনোভাব এবং শক্তি ব্যবহার করে খেলায় প্রশংসা পেয়েছিলেন। বাম পায়ের এই খেলোয়াড় মাঠের মাঝখানে, হোল্ডিং রোল, বক্স-টু-বক্স বা উইংয়ে খেলার পাশাপাশি বাম প্রান্তের রক্ষণ কাজেও পারদর্শী ছিলেন। অ্যালেক্স ফার্গুসনের মতে, তরুণ লিওনেল মেসিকে আটকাতে সক্ষম বিশ্বের কয়েকজন খেলোয়াড়ের মধ্যে পার্ক একজন ছিলেন! ইনজুরির কারণে মাত্র ৩০ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থেমে যাওয়ার আগে ১০০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে গোল করেন ১৩টি। তিনি তিনটি বিশ্বকাপ খেলে চারটিতে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন।
প্লে-মেকার হিদেতোশি নাকাতা জাপানের হয়ে ৭৭টি ম্যাচে ১১টি গোল করেন, যার মধ্যে ৯টি করেছেন ফিফা আয়োজিত বিভিন্ন অফিসিয়াল প্রতিযোগিতায়। মাত্র ২৯ বছর বয়সে অবসর না নিলে তার ক্যারিয়ার আরো সমৃদ্ধ হতো নিঃসন্দেহে। ইতালিয়ান ‘সিরি-এ’ এবং ইংলিশ লিগে ২০৩টি ম্যাচ খেলেছেন এবং ২৫টি গোল করেছেন। ইতালির পারমা, পেরুজিয়া, রোমা ইত্যাদি ক্লাবের হয়ে ১৮২টি ম্যাচ খেলেছেন। একজন এশিয়ান হিসেবে ‘সিরি আ’-তে সর্বাধিক গোল করার রেকর্ড রয়েছে। তিনি প্রথম এশিয়ান খেলোয়াড় হিসেবেও ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় মনোনীত হয়েছিলেন। জিতেছিলেন ২০০১ সালে রোমার সাথে স্কুডেটো। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে জাপান প্রথম বারের মত যোগ্যতা অর্জনে তিনি ছিলেন দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ২০০৬ বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার জিতেছিলেন নাকাতা।
৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট জাপানের কেইসুকে হোন্ডা ৯৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৩৭টি গোল করেছিলেন। হোন্ডা ছিলেন একজন বহুমুখী খেলোয়াড়। আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার, রাইট উইঙ্গার, ফলস নাইন বা ডিপ-লাইং প্লেমেকার হিসেবে খেলতে পারতেন। তিনি ছিলেন দ্রুতগামী সম্পন্ন এবং সৃজনশীল। বাঁকানো ফ্রি-কিক, দূরপাল্লার শট, ড্রিবলিং এবং সেট পিস বিশেষজ্ঞ হিসেবে নির্ভুলতার প্রতীক ছিলেন। প্রতিপক্ষের ডিফেন্সকে টেনে নামানোর জন্য ফলস নাইন পজিশনে খেলতেন। ইউরোপীয় সার্কিটে ১৭৯টি ম্যাচ খেলেছেন, যাদের মধ্যে সিএসকেএ মস্কো এবং এ.সি মিলান ক্লাবে যথাক্রমে খেলেছেন ৯৪টি এবং ৮১টি ম্যাচ। ২০১০ বিশ্বকাপে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ফ্রি-কিক থেকে বাঁকানো গোল করে তিনি ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছিলেন। এশিয়ান হিসেবে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৪টি গোল করার রেকর্ড রয়েছে হোন্ডার। তিনি ২০১১ সালে এশিয়ান কাপ জয়ী দলের অংশ ছিলেন, যেখানে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন। হোন্ডা কম্বোডিয়া জাতীয় দলের কোচ ছিলেন পাঁচ বছর (২০১৮-২০২৩), আর বর্তমানে সামলাচ্ছেন কম্বোডিয়া অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে।
৩১ বছরের সন হিউং-মিন অবসর নেবার পর নিঃসন্দেহে এশিয়ার অন্যতম সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত হবেন। কেননা ইতিমধ্য তিনি এশিয়ার সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ৮ বার (২০১৪, ২০১৫, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে)। টটেনহ্যামের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ৩ বার (২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ মৌসুমে) এবং বিভিন্ন পুরস্কার জিতেছেন ৬৫ বার।দক্ষিণ কোরিয়ার এই ফরোয়ার্ড এখন পর্যন্ত হ্যামবুর্গ, বায়ার লেভারকুসেন এবং টটেনহ্যামের হয়ে ১৫৫টি গোল করেছেন। এখনো টটেনহ্যামের হয়ে খেলতে থাকা সন তাদের হয়ে ২৮৭টি ম্যাচ খেলেছেন। আর জাতীয় দলের হয়ে এই অব্দি ১১৭ ম্যাচে ৪১টি গোল করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার এই ক্যাপ্টেন অসম্ভব পরিশ্রম করা, বিস্ফোরক গতি, ফিনিশিং এবং দুই পায়ে সমান দক্ষতার কারণে যেকোনো উইংয়ে খেলার জন্য পরিচিত। সন প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার ইতিহাসে শীর্ষ এশীয় গোলদাতা। এছাড়াও তিনি এশিয়ার সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়। তিনি ইউরোপে আসেন মাত্র ১৬ বছর বয়সে। ২০২১-২২ মৌসুমে মোহাম্মদ সালাহর সাথে তিনি ২৩ গোল করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) ‘গোল্ডেন বুট’ পুরস্কার জিতেছিলেন প্রথম এশিয়ান হিসেবে। ২০২৩ সালের এপ্রিলে প্রথম এশিয়ান খেলোয়াড় হিসেবে ইপিএলে ১০০ গোল করেন। ২০১৮ সালে ‘এশিয়ান গেমস’ প্রতিযোগিতায় জাতীয় দলের হয়ে স্বর্ণপদক জিতেছেন। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চেওংনিয়ং মেডেল’ অর্জন করেন ২০২২ সালে।
আলী দাই ইরানের হয়ে ১৪৮ ম্যাচে ১০৮টি গোল করেন। পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পরে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোল করেছেন। ক্লাব পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য ম্যাচের মধ্যে ১৩৭টি ম্যাচ খেলেছেন জার্মানির আর্মিনিয়া বিয়েলেফেল্ড, বায়ার্ন মিউনিখ এবং হার্থা বার্লিন ক্লাবে। ইরানের হয়ে অধিনায়কত্ব করেন ২০০০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত। ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার এই স্ট্রাইকার হেডিংয়ে দুর্দান্ত ছিলেন। বুন্দেসলিগায় তেমন গোল না পেলেও বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে লিগ শিরোপা জেতেন এবং একই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে রানার্সআপ হন। ‘এশিয়ান গেমসে’ দু’বার স্বর্ণপদক জয় করেন ১৯৯৮ এবং ২০০২ সালে। ১৯৯৬ সালে হন এশিয়ান কাপের সেরা গোলদাতা, যে টুর্নামেন্টটিতে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে একাই করেন চার গোল। সেই বছর ইরানের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ২০ গোল করেন। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে তিনি হয়েছিলেন সেরা গোলদাতা। ৩৭ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায় নেবার পর ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১৩ বছর ইরানের বিভিন্ন ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন।
দ্রষ্টব্য:
——–
আমি এখানে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের রাখিনি।
সারাবাংলা/এফএম
আলী দাই এশিয়ান ফুটবল পার্ক জি সুং ফুটবল মোহাম্মাদ আল-দাইয়া সন হিউং-মিন সেরা ১১