থানায় যা বললেন খুলনার ‘অপহৃত’ সেই তরুণী
২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:২৭
খুলনা: খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সামনে থেকে ‘অপহরণ’ হওয়া তরুণীকে খুঁজে পাওয়া গেছে। ওই তরুণী বলেছেন, আমাকে অপহরণ করা হয়নি। আমি আমার আত্নীয়-স্বজনদের সঙ্গে ছিলাম। যশোরের কেশবপুরে আত্নীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সোনাডাঙ্গা থানায় তরুণীকে হাজির করা হলে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তরুণী বলেন, ‘গাড়িতে করে যশোরের কেশবপুরের আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এসেছি। আমাকে কেউ অপহরণ করেনি।’ তিনি বলেন, ‘এজাজ চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার মেলা দিনের সম্পর্ক। বিভিন্ন সময় সুবিধা-অসুবিধার জন্য তার কাছে গিয়েছি।’
ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ। আমাকে সুযোগ দিন সুস্থ হওয়ার। তখন আপনারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। যদি উত্তর না দিতে পারি, আমার বিরুদ্ধে লেখেন, কিছু বলব না।’
এর আগে শনিবার রাতে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই তরুণী। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে অনেকদিন ধরে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল তার। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে ওই নারী নিজেই খুমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন।
রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হলে হাসপাতালের ওসিসির সামনে থেকে ফিল্মিস্টাইলে তরুণী ও তার মাকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় তৈরি হলে তৎপর হয় পুলিশ। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদু্জ্জামানকে। তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ একাধিক সূত্র জানায়, তুলে নেওয়ার পর ওই তরুণী ও তার মাকে কেশবপুর উপজেলার তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত সাড়ে ১০টায় সেই মাইক্রোবাসে করে থানায় উপস্থিত হন তরুণী ও তার মা। থানায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
সোনাডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণী জানিয়েছেন, ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ তাকে ধর্ষণ করেননি। এ ছাড়া খুমেক হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাকে কেউ অপহরণও করেনি। তিনি নিজেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন।
আমিরুল ইসলাম আরও জানান, অপহরণের অভিযোগে আটক এজাজের চাচাতো ভাই গাজী তৌহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধেও ওই তরুণীর কোনো অভিযোগ নেই। সে কারণে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
সারাবাংলা/পিটিএম