ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, ১৮ ইরানপন্থি যোদ্ধা নিহত
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৩৭
ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি) এবং তাদের সমর্থনকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ৮৫টির অধিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এসব হামলায় অন্তত ১৮ জন ইরানপন্থি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। গত সপ্তাহের শেষ দিকে জর্ডানে ইরান সমর্থিত যোদ্ধাদের হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। খবর রয়টার্স ও এনডিটিভি।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে দেশ দুটিতে এই হামলা চালায় মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই হামলায় দূরপাল্লার বোমারু বিমান বি-১’ও ব্যবহার করা হয়। ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীদের আক্রমণের পর প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের প্রশাসনের প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেওয়ার এই হামলা চালানো হলো। আগামীতে এমন আরও হামলা চালানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, এই হামলায় ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীদের কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, রকেট, মিসাইল, ড্রোন সংরক্ষণাগার এবং একইসঙ্গে বিভিন্ন যুদ্ধের বিভিন্ন রসদ’সহ অস্ত্র সরবরাহ ব্যবস্থায় হামলা করা হয়েছে।
মার্কিন বাহিনী ৭টি স্থানের ৮৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এর মধ্যে ৪টি সিরিয়ায় এবং ৩টি ইরাকে বলে ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
ইরানের আইআরজিসি বাহিনীর বিদেশি গোয়েন্দা ও আধাসামরিক বাহিনী কুদস ফোর্সকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালায় মার্কিন সামরিক বাহিনী। ইরানের এই বাহিনী লেবানন থেকে ইরাক এবং ইয়েমেন থেকে সিরিয়া পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে তার সহযোগী মিলিশিয়াদের ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট স্টাফের ডিরেক্টর লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডগলাস সিমস বলেছেন, হামলা সফল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বোমাগুলো জঙ্গিদের ঘাঁটিতে আঘাত করায় বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। যদিও কোনো জঙ্গি নিহত হয়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়।
এদিকে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস ওয়ার মনিটর জানিয়েছে, পূর্ব সিরিয়ায় মার্কিন হামলায় ‘অন্তত ১৮ জন ইরানপন্থি যোদ্ধা’ নিহত হয়েছেন।
ইরানের অভ্যান্তরে কোনো হামলা চালায়নি মার্কিন সামরিক বাহিনী। তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের তিন মাসের অধিক সময় ধরে চলা যুদ্ধের মধ্যে এই মার্কিন হামলা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও বাড়ার শঙ্কা করা হচ্ছে।
সারাবাংলা/এনএস