Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৬ দশক পর খুলছে রাজশাহী-মুর্শিদাবাদ নৌপথের দ্বার

মাহী ইলাহি, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০২:৩২

৫৯ বছর পর রাজশাহী থেকে ভারতের মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত নৌপথে বাণিজ্য শুরু হতে যাচ্ছে। ছবি: প্রতিবেদক

রাজশাহী: বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে রাজশাহী থেকে নৌপথে পণ্য পারাপার করা হতো ভারতে। সেখানকার মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদীঘি থানার ময়া নামক এলাকা থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত সরাসরি চলাচল করত পণ্যবাহী নৌযান। বাংলাদেশ থেকে পাঠানো হতো পাট ও মাছ। ভারত থেকেও আসত বিভিন্ন পণ্য।

রাজশাহী থেকে নৌপথে পণ্য রফতানি-আমদানির এই গল্পের ইতি প্রায় ছয় দশক আগে। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগ পর্যন্ত সুলতানগঞ্জ-ময়া ও গোদাগাড়ী-ভারতের লালগোলা নৌঘাটের মধ্যে নৌপথে বিপুল বাণিজ্য চালু ছিল। এরপর থেকে এই রুটটি বন্ধ হয়ে যায়।

দীর্ঘ ৫৯ বছর পর ফের এই নৌপথের দ্বার খুলতে যাচ্ছে। নৌ-প্রটোকল চুক্তির আওতায় সুলতানগঞ্জ নদী বন্দর ফের সচল করা হচ্ছে। নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় ও অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সুলতানগঞ্জ নদী বন্দর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের প্রস্তুতিও শেষ করেছে। আগামী সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সেই উদ্বোধনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় বলছে, উদ্বোধনের পর রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ ঘাটটি নদী বন্দরের মর্যাদা পাবে। আর এর মধ্য দিয়েই ৫৯ বছর পর সুলতানগঞ্জ নদী বন্দর ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার ময়া ঘাট বা নদী বন্দরের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শুরু হবে।

পদ্মা নদীর এই অংশে সারা বছর নৌযান চলাচলের উপযোগী পানি থাকে। ছবি: প্রতিবেদক

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে এই নৌপথে ভারত থেকে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল, পাথর, মার্বেল, খনিজ বালু ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী বাংলাদেশে আসবে। বর্তমানে এসব পণ্য মূলত বিভিন্ন স্থলবন্দরের মাধ্যমে সড়ক ও রেলপথে বাংলাদেশে আমদানি করা হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে বস্ত্র, মাছ, পাট ও পাটজাত পণ্য ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য যাবে ভারতে।

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরের মাধ্যমে এসব পণ্য ভারত থেকে আমদানিতে সময় ও খরচ কমে যাবে। এতে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের ব্যবসায়ীরাই উপকৃত হবেন। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, বছরে এই নৌপথে দুই দেশের মধ্যে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হবে।

এই নৌ রুট চালুর বিষয়ে বেশ আন্তরিক ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি ২০২০ সালে একবার উদ্যোগও নিয়েছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে সে উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি। এরপর সর্বশেষ সিটি নির্বাচনের ইশতেহারে সুলতানগঞ্জ থেকে ভারতের ময়া পর্যন্ত নৌরুট চালুর অঙ্গীকার করেন লিটন। সেই অঙ্গীকার এখন বাস্তবায়নের পথে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এই নৌ বন্দরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর আফির আহমেদ মোস্তফাসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।

১৯৬৫ সালে সর্বশেষ নৌপথে বাণিজ্য হতো এই রুটে। ছবি: প্রতিবেদক

এর আগে রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ আর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ধুলিয়ানের মধ্যে নৌপথে বাণিজ্য চালুর সিদ্ধান্ত হয় নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের এক সভায়। রাজশাহী থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার একটি নৌপথের অনুমোদন থাকলেও পদ্মার নাব্য সংকটের কারণে সেটি কার্যকর করা যায়নি। ফলে রুটটি সংক্ষিপ্ত করে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ থেকে ভারতের মুর্শিদাবাদের ময়া নৌবন্দর পর্যন্ত আড়াআড়িভাবে ২০ কিলোমিটার পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে পণ্য আনা নেওয়া হবে। শুরুতে এই নৌপথে ভারত থেকে পাথর বালি ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী আনা হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। বেশ জোরেসোরে চলছে কাজ। পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য তৈরি করা হচ্ছে রাস্তা। পন্টুনও তৈরি রাখা হয়েছে, চলছে রঙের কাজ। পাশেই রাখা হয়েছে বিশালাকৃতির একটি ট্রলার। এই ট্রলার দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ভারতে পণ্য পাঠানো হবে। নৌ বন্দর ঘাটের পাশে রাখা আছে সারি সারি ইট। পলি মাটিতে এই ইট দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হবে।

সুলতানগঞ্জে সব কাজের তদারকি করছিলেন বিআইডব্লিউটিএর উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা খুব দ্রুত কাজ শেষ করছি। আগামী সোমবার এই নৌবন্দর উদ্বোধন করা হবে। আমাদের এই কাজ শনিবারের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এখানে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় বিশাল প্রকল্প ঘোষণা করবে। এখানকার জায়গাগুলো অধিগ্রহণ করা হবে। সরাসরি জাতীয় সড়কে উঠবে।’

বিআইডব্লিউটিএর এই কর্মকর্তা জানালেন, এই নৌ রুটে নাব্য নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ সারা বছরই এই নৌ রুটে অনেক পানি থাকে। পণ্য পরিবহন শুরু হলে চর আর থাকবে না। চর জাগারও সম্ভাবনা নেই।

এখন নতুন করে রাজশাহী-মুর্শিদাবাদ নৌরুট চালু হচ্ছে, যার প্রস্তুতি এখন শেষের দিকে। ছবি: প্রতিবেদক

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুলতানগঞ্জ থেকে ময়া নৌঘাটের নদীপথে দূরত্ব মাত্র ১৭ কিলোমিটার। সুলতানগঞ্জ নৌ ঘাটটি রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়ক থেকে মাত্র এক কিলোমিটার ভেতরে পদ্মা মহানন্দার মোহনায় অবস্থিত। সারা বছর সুলতানগঞ্জ পয়েন্টে পদ্মায় গভীর পানি থাকে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের ময়া নৌঘাটটি মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমা শহরের কাছে ভারতীয় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত। ফলে সুলতানগঞ্জ-ময়া পথে নৌবাণিজ্য শুরু হলে পরিবহন খরচ অনেকাংশে কমবে।

এই নৌ বন্দর চালু হওয়া নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখানে নৌ বন্দর চালু হলে স্থানীয় বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে, যা আমাদের জন্য হবে ইতিবাচক। একসময় এখানে নৌ বন্দর ছিল। তখন আমরা স্কুলে পড়তাম। স্বাধীনতা যুদ্ধের ছয় বছর আগে এই বন্দর বন্ধ হয়ে যায়। তখন বিশাল বিশাল জাহাজ আসত এখানে। আবার এই বন্দরে কর্মযজ্ঞ শুরু হবে ভাবতেই ভালো লাগছে।’

স্থানীয় চা দোকানদার মো. সেলিম বলেন, ‘বর্তমানে সুলতানগঞ্জ ঘাট আছে। এখান থেকে চাঁপাই সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়নে যাওয়া যায়। প্রতিদিন এখান থেকে ৫০টি নৌকা যাওয়া আসা করে। ভোর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নৌকা চলাচল করে। এখানে বন্দর করা হলে সবসময় মানুষের যাতায়াত থাকবে। সেই সঙ্গে আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবে।’

স্থানীয়রা বাসিন্দারা বলছেন, সুলতানগঞ্জ গোদাগাড়ী পৌরসভার মধ্যে। আর এই এলাকায় মাদক কারবারিরা বেশি সক্রিয়। তাদের দমন করা দরকার। অন্যদিকে স্থানীয় নেতারা বন্দর দখল নিতে মরিয়া হয়ে আছে। তারা যেন সফল হতে না পারে, সেদিকে লক্ষ রাখতে বলছেন তারা।

৬ দশকের বিরতির পর আগামী সোমবার নতুন করে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে সুলতানগঞ্জ ঘাট, যা এবার উন্নীত হচ্ছে নদীবন্দরে। ছবি: প্রতিবেদক

বাংলাদেশের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের জন্য প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ পাকুড় ব্র্যান্ডের পাথর ও খনিজ বালুর প্রয়োজন হয়। বর্তমানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও যমুনা রেলসেতুর মতো বড় বড় প্রকল্পে ব্যবহার হচ্ছে ঝাড়খণ্ডের পাকুর ব্র্যান্ডের পাথর, যা সড়ক ও রেলপথের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। তবে সড়কপথে এসব পণ্য আমদানিতে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনি খরচ বেশি পড়ে। নৌপথে এসব পণ্য আমদানি করা গেলে পরিবহন খরচ বহুলাংশে কম পড়বে।

সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর চালু প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত নৌ-প্রটোকলের আওতায় নদী পথে দুই দেশের মধ্যে কম খরচে বিপুল পরিমাণ বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজশাহীর সুলতানগঞ্জে নৌবন্দরের কার্যক্রম চালু হলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ময়া নৌবন্দরের সঙ্গে নদী পথে বাণিজ্য শুরু হবে। এর ফলে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের ব্যবসায়ীরাই উপকৃত হবেন।

তিনি আরও বলেন, সুলতানগঞ্জ-ময়া একটি লাভজনক ও চমৎকার নৌ রুট হতে পারে। দুই পাড়েই অবকাঠামোগত কিছু সমস্যা এখনো রয়েছে। তবে সুলতানগঞ্জ বন্দর চালু হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে সেগুলো ঠিক হয়ে যাবে। ভারত ময়া ঘাটও প্রস্তুত করেছে। উদ্বোধন হলে পণ্য আনা-নেওয়া শুরু হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা-মহানন্দার মোহনায় অবস্থিত সুলতানগঞ্জ এলাকায় পদ্মা নদীতে সারা বছর নৌ চলাচলের উপযোগী পানি থাকে। বিপরীতে ভারতের ময়া বন্দরেও সারা বছর পানি থাকে। শুষ্ক মৌসুমে পদ্মার মাঝ এলাকায় কিছু পথে নাব্য কমে যায়। তেমন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে পদ্মায় ড্রেজিং করে নৌপথটি সারাবছর সচল রাখা হবে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ময়া থেকে বাংলাদেশের রাজশাহীর সুলতানগঞ্জে পণ্যবাহী নৌযান মাত্র এক ঘণ্টায় আসতে পারবে।

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্যসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন্দরটির মাধ্যমে ভারত থেকে পণ্য আমদানির খরচ বহুলাংশে কমে আসবে। ছবি: প্রতিবেদক

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে সুলতানগঞ্জ-ময়া নৌরুট চালুর বিষয়ে গত কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করে আসছেন রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন। নৌ বন্দর চালুর করার জন্য ভারতও সফর করেছেন।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ভারতের মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ, রাজশাহী, পাকশী হয়ে আড়িচাঘাট পর্যন্ত এই নৌ রুটটি। দীর্ঘদিন এটি নিয়ে কোনো উদ্যোগ ছিল না। আমি পাঁচ বছর আগে থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া, লেখালেখি বা ডিও লেটার দেওয়ার কাজ করেছি। এর ফলে এটা গতিশীল হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ উভয়পক্ষ, বিশেষ করে ভারত নৌপথে বাণিজ্য করতে আগ্রহী।

রাজশাহীর সিটি মেয়র আরও বলেন, ভারতের পক্ষ মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান, ময়া নৌবন্দর সম্পন্ন প্রস্তুত করে রেখেছে। সুলতানগঞ্জে একটি পন্টুন নিয়ে আসা হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। পাঁচটি নৌ যানের মধ্যেমে ট্রায়াল দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে নদীর নাব্য ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বাড়ানো হবে। রাজশাহীর পশ্চিমে একটি নৌ বন্দর হতে যাচ্ছে, যার কাজ খুব অল্প সময়ের মধ্যে শুরু হবে। নদী ড্রেজিং হচ্ছে আরিচাতেও। আরিচা থেকে উত্তরে বঙ্গপুত্র নীদ হয়ে আসামের নৌ বন্দরে মালামাল নিয়ে যেতে পারবে।

সুলতানগঞ্জ-ময়া নৌপথটি খুবই সম্ভাবনাময় একটি বাণিজ্য পথ। এই পথে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য শুরু হলে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশই বিপুলভাবে লাভবান হবেন আশাবাদ জানান খায়রুজ্জামান লিটন। তার সেই আশাবাদের সঙ্গে একমত নৌপরিবহণ খাতের সংশ্লিষ্টরাও।

সারাবাংলা/টিআর

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় পণ্য আমদানি পণ্য পরিবহন পণ্য রফতানি বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য বিআইডাব্লিউটিএ রাজশাহী-মুর্শিদাবাদ সুলতানগঞ্জ ঘাট সুলতানগঞ্জ নদী বন্দর


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর