মেডিকেল ভর্তিতে পাসের হার ৪৭.৮৩%, এবারও এগিয়ে মেয়েরা
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩৫
ঢাকা: দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১ লাখ ২ হাজার ৩৬৯ জন। পাস করেছেন ৪৯ হাজার ৯২৩ জন। পাসের হার ৪৭.৮৩ শতাংশ। এবারও ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাসের হার বেশি।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। এবারের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী শুরুতেই সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘এবারের পরীক্ষায় ছেলেদের থেকে মেয়েদের পাসের হার বেশি। আমাদের বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। সেভাবেই তিনি কাজ করছেন। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলেও নারীর অগ্রযাত্রা লক্ষ্য করা গেল।’
তিনি বলেন, ‘একটা দেশের সরকার প্রধান যদি ভিশনারি হন তাহলে সেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বা মানবিক উন্নয়ন সবই সম্ভব। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী তেমনি একজন সত্যিকারের মিশনারি লিডার।’
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন পড়েছিল এক লাখ চার হাজার ৩৭৪ জনের। সেখান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ দুই হাজার ৩৬৯ জন। অনুপস্থিতির হার ছিল ১.৯২ শতাংশ। পরীক্ষায় পাস নম্বর ধরা হয়েছে ৪০। সে অনুযায়ী এ বছর মোট ৪৯ হাজার ৯২৩ জন পাশ করেছে। এদের মধ্যে ২০ হাজার ৪৫৭ জন ছেলে ও ২৯ হাজার ৪৬৬ জন মেয়ে।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৯২ দশমিক ৫ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন তানজিম মুনতাকা সর্বা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময়সীমা সরকারি মেডিকেল কলেজে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এছাড়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইন আবেদন গ্রহণের বিজ্ঞপ্তি আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ হবে।
এর আগে, ৯ ফেব্রুয়ারি এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫ হাজার ৩৮০টি আসনে এবং ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৫টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল’ কর্তৃক প্রণীত নীতিমালার শর্তানুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর ও এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৩৮০ জন পরীক্ষার্থীকে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মেধা কোটায় ৫ হাজার ৭২ জন, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫৬৯ জন এবং পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত আসনের ৩৯ জন নির্বাচিত হয়েছেন।
এ দিন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ সচিব আজিজুর রহমান, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়াসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম