খুলনায় ৭ ইটভাটায় অভিযান, ২১ লাখ টাকা জরিমানা
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:১৬
খুলনা: জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় হাইকোর্টের নির্দেশনা উপেক্ষা এবং ইট প্রস্তুত ও ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ভাটা পরিচালনা করায় অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে সাতটি ইটভাটাকে ২১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খর্ণিয়া ও শোলগাতিয়া এলাকায় ভদ্রা ও হরি নদীর চর ভরাটিয়া জমির কিছু অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ইটভাটা। ভাটাগুলোর লাইসেন্স এবং পরিবেশ দফতরের ছাড় পত্রের মেয়াদ দুই বছরেরও বেশি সময় উত্তীর্ণ হলেও অবৈধভাবে সেটি পরিচালিত হয়ে আসছে।
বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ নামে একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের রিট মামলা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভদ্রা ও হরি নদীর তীরবর্তী ১৪টি ইটভাটার জায়গা দখল এবং পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্রবিহীন ইটভাটাগুলো বন্ধে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন আদালত।
যার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন গত বছর ২ ফেব্রুয়ারি ৬টি ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা এবং ৮টি ইটভাটা সীল গালা করে বন্ধ করে দেয়। কিন্ত অসাধু মালিকরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাদের ইটভাটাগুলো ফের পরিচালনা করতে থাকে।
রোববার খুলনা পরিবেশ দফতরের উদ্যোগে খর্ণিয়া ব্রিজের উত্তর পাশে অবস্থিত ভাটাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে শাহাজান জমাদ্দারের মালিকানাধীন সান ব্রিকস, রানাই এলাকার মো. জাহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন কেবি ব্রিকস, আব্দুল লতিফ জমাদ্দারের জেবি ব্রিকস, আমিনুর রশিদের মালিকানাধীন লুইন ব্রিকস, গাজী আব্দুল হকের সেতু ব্রিকস-৪ এবং শোলগাতিয়া এলাকায় ইকবাল জমাদ্দারের মালিকানাধীন স্টোন ব্রিকস’র প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা জরিমানা ধার্য্য করে মোট ২১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন জেলা পরিবেশ দফতরের সহকারী পরিচালক পারভেজ আহম্মেদ, থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
সারাবাংলা/পিটিএম