‘অসদুপায় ঠেকাতে আরও সতর্ক হয়েছে ঢাবি’
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪৪
ঢাকা: ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে কেউ যেন অসদুপায় অবলম্বন করতে না পারে, সে ব্যাপারে আরও বেশি সতর্ক হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া প্রশ্নফাঁস নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে কেউ যেন মানুষের ক্ষতি করতে না পারে, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার হল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।
অনুষ্ঠিত পরীক্ষাটি দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে সকাল ১১টায় শুরু হয়। এমসিকিউ ও লিখিত—দুই অংশে দেড় ঘণ্টার পরীক্ষাটি শেষ হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়।
এই ইউনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২৬ হাজার ১১০ জন এবং ঢাকার বাইরের কেন্দ্রগুলোতে ১১ হাজার ৫৬৯ জন পরীক্ষার্থীসহ মোট ৩৭ হাজার ৬৭৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। সেই হিসেবে প্রতি আসনের জন্য ৩৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, আমরা শুক্রবার রাত ও আজকে সকালে আমাদের বিভাগীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য ও পরীক্ষা সমন্বয়কদের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে তারা সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এখন পর্যন্ত ঢাকা ও ঢাকার বাইরে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
উপাচার্য বলেন, এক মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, আমরা বেশ কয়েক বছর ধরেই এ বিষয়ে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করেছি। এবারও আমরা অনেক সতর্ক রয়েছি। এখন পর্যন্ত এমন কাউকে পাওয়া যায়নি যারা বিভিন্ন ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশ করেছে বা অসদুপায় অবলম্বন করছে। কেউ যদি এমন অসদুপায় অবলম্বন করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাছাড়া কেউ যেন প্রশ্নফাঁস নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে মানুষের ক্ষতি করতে না পারে সে দিকে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরীক্ষা। আজ ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ইউনিটের পরীক্ষার পর আগামী ১ মার্চ (শুক্রবার) বিজ্ঞান ইউনিট এবং ৯ মার্চ (শনিবার) চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সারাবাংলা/আরআইআর/ইআ