ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের নির্দেশ মাউশির
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৩৩
ঢাকা: বিধি বহির্ভূতভাবে ভর্তিকৃত প্রথম শ্রেণির ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে অপেক্ষমান তালিকা থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির করতে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টে এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) দাখিল করা প্রতিবেদনে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে মাউশির মহাপরিচালকের (ডিজি) পক্ষে থেকে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে মাউশির নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের প্রতি নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৬ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শামীম সরদার। ভিকারুননিসার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুহাম্মদ রাফিউল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) কাজী মইনুল হাসান।
পরে আইনজীবী শামীম সরদার সারাবাংলাকে বলেন, ভিকারুননিসায় বিধি বহির্ভূতভাবে ভর্তিকৃত ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালকের পক্ষে থেকে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের প্রতি এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টে মাউশির পক্ষে দাখিল করা প্রতিবেদনে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন আদালত। পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৬ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।
তবে ভিকারুননিসায় আইনজীবী মুহাম্মদ রাফিউল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, এ বিষয়ে মাউশির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ভিকারুননিসার গভর্নিং বডি সভা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। নির্ধারিত সাত দিনের মধ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আইনজীবীরা জানান, ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাউশির সঙ্গে পরামর্শ করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে লটারি পদ্ধতির মাধ্যমে বেইলি রোড, আজিমপুর শাখা, ধানমন্ডি শাখা ও বসুন্ধরা শাখায় ওই ১৬৯ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়।
নীতিমালা অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারির আগে জন্ম এমন শিক্ষার্থীরা ভিকারুননিসা নূন স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
কিন্তু ভর্তির পর দেখা যায়, ওই ১৬৯ শিক্ষার্থীর জন্ম ২০১৫ ও ২০১৬ সালে এবং ভর্তির বয়সসীমার নীতিমালা লঙ্ঘন করে তাদের ভর্তি করা হয়েছে।
এ কারণে প্রথম শ্রেণির ভর্তির তালিকায় অপেক্ষমান থাকা দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে তাদের অভিভাবক এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে মাউশির ডিজি বরাবরে আবেদন করে। কিন্তু এ বিষয়ে মাউশির ডিজির পক্ষ থেকে সাড়া না পেয়ে গত ২৩ জানুয়ারি ওই দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারির পাশাপাশি এ বিষয়ে দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে মাউশির মহাপরিচালক বরাবরে করা আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
পরে ওই আবেদন মাউশির মহাপরিচালক নিষ্পত্তি করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আজ মাউশির মহাপরিচালকের পক্ষে দাখিল করা ওই প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিবেদনে বিধি বহির্ভূতভাবে ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে অপেক্ষমান তালিকা হতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভিকারুননিসার অধ্যক্ষকে তা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষকে সাত দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন এবং পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৬ মার্চ দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ