পরিত্যক্ত ককটেল দিয়ে খেলার সময় বিস্ফোরণ, শিশুর কবজি বিচ্ছিন্ন
৮ মার্চ ২০২৪ ০১:৫৮
যশোর: পরিত্যক্ত ককটেল নিয়ে খেলার সময় বিস্ফোরণে এক শিশুর হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। একই ঘটনায় আরও এক শিশুর নাভি থেকে চোখ পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিত্যক্ত ওই ঘর ঘর থেকে ৯টি বোমা জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে উপজেলার ফতেয়াবাদ গ্রামের পরিত্যক্ত একটি ঘরে এ ঘটনা ঘটে। কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়া শিশুটির নাম আরজু (১০), শরীর ক্ষতবিক্ষত হওয়া শিশুটির নাম মাইমুন মেহেদী (৪)।
পুলিশ জানায়, ফতেয়াবাদ গ্রামের ওহিদুল ইসলামের বসতভিটায় চার কক্ষের একটি আধাপাকা পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে। ওহিদুল সেখানে থাকেন না। প্রতিবেশী আসলাম হোসেন রান্নার জ্বালানি রাখার কাজে ঘরটি ব্যবহার করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর আসলাম হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম নিজের ছেলে আরজু ও প্রতিবেশী বাবলুর ছেলে মেহেদীকে নিয়ে সেই ঘরে জ্বালানি রাখার জন্য যান। তখন আরজু ও মেহেদী ঘরে ঢুকে খেলা করার সময় একটি লাল স্কচটেপে মোড়ানো ছোট খেলনা সদৃশ বস্তু পায়। তারা সেটি নিয়ে খেলার উদ্দেশে নাড়াচাড়া করলে বিস্ফোরণ ঘটে।
ককটেল বিস্ফোরিত হলে আরজুর ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও মাইমুন মেহেদীর নাভি থেকে চোখ পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত হয়। শব্দ শুনে স্বজনরা গিয়ে দুই শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাদের যশোর সদর হাসপাতালে পাঠান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা অনুপ বসু বলেন, স্বজনরা বোমা বিস্ফোরণের কথা স্বীকার করেননি। তারা চার্জার বিস্ফোরণে দুই শিশুর আহত হওয়ার কথা বলেছেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলাও হয়নি বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ।
সারাবাংলা/টিআর