‘দেশকে ভালোবাসতে হলে বই ভালোবাসতে হবে’
৯ মার্চ ২০২৪ ২৩:০৭
ঢাকা: ডিসেম্বর থেকে মার্চ, বিজয় থেকে স্বাধীনতা— টানা তিনমাস পাঠ শেষে সেরা পাঠকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার মাধ্যমে শেষ হলো জেলা পরিষদ, সিলেট-ইনোভেটর’ বইপড়া উৎসবের। এ উপলক্ষে শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে সিলেট শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য পুরস্কার প্রদান এবং সমাপনী অনুষ্ঠানের। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বইপড়া ছাড়া দেশকে জানা যায় না। তাই দেশকে ভালোবাসতে হলে বইকে ভালোবাসতে হবে।’
শফিকুর রহমান চৌধুরী আরও বলেন, ‘বইপড়া উৎসবের সঙ্গে আমার আত্মিক যোগাযোগ। শুরু থেকেই আমি এ কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে আসছি। কেননা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অনুশীলন ছাড়া তরুণ প্রজন্ম আদর্শ নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে পারবে না।’
শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আশ্রয়ী বই পড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বইয়ের ক্ষমতা অনন্ত, এ ক্ষমতা কখনো হারায় না। সোনার বাংলা গড়তে হলে যে সোনার মানুষ দরকার, সেই সোনার মানুষ হতে হলে বইপড়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ, সিলেটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ, সিলেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ ও ইনোভেটরের মুখ্য সঞ্চালক এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ।
বইপড়া উৎসবের সার্বিক বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন ইনোভেটরের নির্বাহী সঞ্চালক প্রণবকান্তি দেব। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইনোভেটরের প্রধান সমন্বয়ক প্রভাষক সুমন রায়।
ইনোভেটর-এর সমন্বয়ক আশরাফুল আলম অনির তত্ত্বাবধানে এবং রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী অনিমেষ বিজয় চৌধুরীর পরিবেশনায় পরিবেশিত জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।
ইনোভেটরের সদস্য ঈশিতা ঘোষ চৌধুরী এবং নাফিসা কাউলিন সিগমার উপস্থাপনায় এ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি শামসুল আলম সেলিম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত, রবীন্দ্র গবেষক এবং লেখক মিহির কান্তি চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মবনু, জেলা পরিষদের সদস্য মো. নাসির উদ্দিন, সুবাস চন্দ্র দাস, ইফজাল চৌধুরী, মাওলানা মোসাদ্দিক আহমদ, উইমেনস মডেল কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াদুদ তাপাদার, শিক্ষিকা কুহেলী রানী রায় ও সালমা খাতুন।
বক্তৃতা পর্ব শেষে মোট সিলেট সদর, মহানগরসহ ১০টি উপজেলা থেকে ৬৫টি জন বিজয়ী শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সিলেটের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/একে