আগের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত, বেসিসের এজিএম চলবে

ঢাকা: তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) স্থগিদের নির্দেশ দিয়ে চিঠি ইস্যুর পরদিনই সেই চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর ফলে পূর্বনির্ধারিত সময়ে এজিএম আয়োজনে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-২ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ চিঠিতে সই করেছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বেসিসের ১৬ মার্চ অনুষ্ঠেয় এজিএম স্থগিত করার জন্য যে চিঠি জারি করা হয়েছিল, সেই চিঠির কার্যকারিতা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হলো।

আরও পড়ুন- বেসিসের এজিএম স্থগিত ও বিধি অনুযায়ী অডিট করানোর নির্দেশ

বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সারাবাংলাকে বলেন, এজিএম স্থগিত রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা প্রত্যাহার করেছে। ফলে ১৬ মার্চ এজিএম হচ্ছে। আশা করি বেসিসের সব সদস্য এতে অংশ নেবেন।

বেসিস সভাপতি আরও বলেন, কেউ কেউ এজিএম স্থগিত করতে চেয়েছিল। সেটি ভিন্ন বিষয়। কোনো সংগঠনের জন্যই এজিএম স্থগিতের বিষয়টি ভালো নয়। সংগঠনের সভাপতি হিসেবে আমি সবসময় চেয়েছি যথাসময়ে এজিএম হোক, সেটিই হচ্ছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-২ শাখা থেকে এক চিঠিতে বেসিসের এজিএম স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, ১৬ মার্চ অনুষ্ঠেয় বেসিসের এজিএম স্থগিত করে সংগঠনটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অডিট কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করে এজিএম করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

আরও পড়ুন- বেসিসের লেনদেনে অনিয়মের অভিযোগ, ইজিএম না করেই অডিট ফার্ম বদল

বেসিসের কিছু লেনদেন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরিতে বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলে এজিএম স্থগিতের আবেদন জমা পড়েছিল মন্ত্রণালয়ে। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত বেসিস সফটএক্সপো আয়োজনের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই কোটি টাকার বিল প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে পরিশোধ না ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে পরিশোধের অভিযোগ ওঠে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বিধি বহির্ভূত এই লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন তুললে কার্যনির্বাহী কমিটিকে (ইসি) না জানিয়ে এবং বিশেষ বর্ধিত সভা (ইজিএম) আয়োজন না করেই নির্ধারিত অডিট ফার্ম মিজান অ্যান্ড কোং-কে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর বদলে অধিকারি অ্যান্ড কোং অডিট ফার্মকে দিয়ে নতুন করে নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করানো হয়।

বেসিস সূত্রে জানা যায়, এজিএম সামনে রেখে আমন্ত্রণ ও নিরীক্ষা প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন নথিপত্র সদস্যদের পাঠানোর পর গত শনিবার (৯ মার্চ) বেসিসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানে অডিট ফার্ম পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। একপর্যায়ে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ ও সহসভাপতি (অর্থ) ফাহিম আহমেদ জানান, আগের অডিট ফার্ম মিজান অ্যান্ড কোং যেসব অডিট আপত্তি দিয়েছে, তা পূরণ করতে হলে এক কোটি ছয় লাখ টাকা বাড়তি কর দিতে হবে। এই কর এড়ানোর জন্যই নতুন অডিট ফার্ম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বিধি বহির্ভূত লেনদেন ও সবার অগোচরে অডিট ফার্ম পরিবর্তনের ঘটনায় বেসিসের তিন পরিচালক ‘নোট অব ডিসেন্ট’ও দিয়েছিলেন বেসিসে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

এজিএম টপ নিউজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বেসিস বেসিসের এজিএম