বিজ্ঞাপন

বেসিসের এজিএম স্থগিত ও বিধি অনুযায়ী অডিট করানোর নির্দেশ

March 14, 2024 | 5:59 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) স্থগিত করতে নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সংগঠনটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করে তারপর এজিএম করতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আগামী শনিবার (১৬ মার্চ) বেসিসের ২৫তম এজিএম হওয়ার কথা ছিল। তবে এর আগেই সংগঠনের বার্ষিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সারাবাংলা ডটনেটে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত খবরে বলা হয়, বিধি বহির্ভূতভাবে অডিট ফার্ম বদল করে নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করে সরবরাহ করা হয়েছিল বেসিসের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-২ শাখা থেকে বেসিসকে পাঠানো এক চিঠিতে এসব কথা বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ চিঠিতে সই করেছেন।

আরও পড়ুন- বেসিসের লেনদেনে অনিয়মের অভিযোগ, ইজিএম না করেই অডিট ফার্ম বদল

বিজ্ঞাপন

ডাকাতিয়ার প্রোপাইটর মো. ফাইকুজ্জামানের ১০ মার্চের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৬ মার্চ অনুষ্ঠেত বেসিসের এজিএম স্থগিত করে সংগঠনটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অডিট কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করে এজিএম করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত বেসিস সফটএক্সপো আয়োজনের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই কোটি টাকার বিল প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে পরিশোধ না ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে পরিশোধের অভিযোগ ওঠে।

বিধি বহির্ভূত এই লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন তুললে কার্যনির্বাহী কমিটিকে (ইসি) না জানিয়ে এবং বিশেষ বর্ধিত সভা (ইজিএম) আয়োজন না করেই নির্ধারিত অডিট ফার্ম মিজান অ্যান্ড কোং-কে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর বদলে অধিকারি অ্যান্ড কোং অডিট ফার্মকে দিয়ে নতুন করে নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করানো হয়।

বিজ্ঞাপন

বেসিস সূত্রে জানা যায়, এজিএম সামনে রেখে আমন্ত্রণ ও নিরীক্ষা প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন নথিপত্র সদস্যদের পাঠানোর পর গত শনিবার (৯ মার্চ) বেসিসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানে অডিট ফার্ম পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। একপর্যায়ে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ ও সহসভাপতি (অর্থ) ফাহিম আহমেদ জানান, আগের অডিট ফার্ম মিজান অ্যান্ড কোং যেসব অডিট আপত্তি দিয়েছে, তা পূরণ করতে হলে এক কোটি ছয় লাখ টাকা বাড়তি কর দিতে হবে। এই কর এড়ানোর জন্যই নতুন অডিট ফার্ম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বিধি বহির্ভূত লেনদেন ও সবার অগোচরে অডিট ফার্ম পরিবর্তনের ঘটনায় বেসিসের তিন পরিচালক ‘নোট অব ডিসেন্ট’ও দিয়েছিলেন বেসিসে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন