কুবি: প্রশাসনের নানাবিধ অব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাচারিতামূলক কার্যক্রমের অভিযোগ তুলে তার প্রতিবাদ জানিয়ে এবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) চারটি হলের চার আবাসিক শিক্ষক (হাউজ টিউটর) পদত্যাগ করেছেন।
বুধবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরীর কাছে আলাদা আলাদা পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা। এর আগে এজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনিভাবে ডিন নিয়োগ দেওয়াকে কারণ দেখিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যের পদ থেকে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) পদত্যাগ করেন কুবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান।
পদত্যাগকারী শিক্ষকরা হলেন-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান খান, কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষক অর্ণব বিশ্বাস এবং নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের আবাসিক শিক্ষক জয় চন্দ্র রাজবংশী।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন মজুমদার, ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মো. কামরুল হাসান ও শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক কুলছুম আক্তার স্বপ্না পদত্যাগ করেছিলেন।
পদত্যাগকারী সব শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতা, পদোন্নতিতে নিয়ম বহির্ভূত বিভিন্ন শর্তারোপ, সিন্ডিকেটের অ্যাজেন্ডা বহির্ভূত অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ডিন নিয়োগ এবং যোগ্যতা থাকা স্বত্ত্বেও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের পদোন্নতি না দিয়ে উল্টো বেআইনি শর্তারোপের বিষয়গুলো পদত্যাগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
পদত্যাগের বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অর্ণব বিশ্বাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান বিভিন্ন সমস্যাগুলোর কোনো সমাধান না হওয়া, শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ আটকে রাখা, ডিন নিয়োগে অনিয়মসহ বেশকিছু কারণে একজন সাধারণ শিক্ষক হিসেবে কুবি শিক্ষক সমিতির দাবিগুলোর সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আমি পদত্যাগ করেছি।
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বলেছেন, আমি পদত্যাগপত্রগুলো হাতে পেয়েছি। দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।