ভিকারুননিসায় প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শূন্য আসনে ভর্তিতে স্থিতাবস্থা
২০ মার্চ ২০২৪ ১৯:১৭
ঢাকা: ভিকারুননিসার প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি বাতিল করা ১৬৯ শিক্ষার্থীর শূন্য আসনে ভর্তির নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। সেইসঙ্গে এ বিষয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আপিলকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা। ভিকারুননিসার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম। আর রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী শামীম সরদার।
পরে আইনজীবী শামীম সরদার বলেন, ‘আপিল বিভাগ শুনানি নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাটারে স্টেটাসকো (বিষয়বস্তুর ওপর স্থিতাবস্থা) দিয়েছেন। পাশাপাশি দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’
এই আদেশের ফলে কেউ ক্লাস করতে পারবে না এবং শূন্য আসনে কেউ ভর্তিও হতে পারবে না। তার মানে যেমন আছে, তেমনই থাকবে।
আইনজীবীরা জানান, ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাউশির সঙ্গে পরামর্শ করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে লটারি পদ্ধতির মাধ্যমে বেইলি রোড, আজিমপুর শাখা, ধানমন্ডি শাখা ও বসুন্ধরা শাখায় ওই ১৬৯ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়।
নীতিমালা অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারির আগে জন্ম এমন শিক্ষার্থীরা ভিকারুননিসা নূন স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। কিন্তু ভর্তির পর দেখা যায়, ওই ১৬৯ শিক্ষার্থীর জন্ম ২০১৫ ও ২০১৬ সালে এবং ভর্তির বয়সসীমার নীতিমালা লঙ্ঘন করে তাদের ভর্তি করা হয়েছে।
এ কারণে প্রথম শ্রেণির ভর্তির তালিকায় অপেক্ষমাণ থাকা দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে তাদের অভিভাবক এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে মাউশির ডিজি বরাবরে আবেদন করে। কিন্তু এ বিষয়ে মাউশির ডিজির পক্ষ থেকে সাড়া না পেয়ে গত ২৩ জানুয়ারি ওই দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারির পাশাপাশি এ বিষয়ে দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে মাউশির মহাপরিচালক বরাবরে করা আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। পরে ওই আবেদন মাউশির মহাপরিচালক নিষ্পত্তি করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মাউশির মহাপরিচালকের পক্ষে দাখিল করা ওই প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিবেদনে বিধিবহির্ভূতভাবে ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে অপেক্ষমাণ তালিকা হতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভিকারুননিসার অধ্যক্ষকে তা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। সেইসঙ্গে এ বিষয়ে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষকে সাত দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
গত ৬ মার্চ বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির নির্দেশ দেন। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় বাতিলকৃত শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম